প্রতিবেদন : আদিবাসী আন্দোলনের তিন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সিধু, কানহু ও বীরসা মুণ্ডার মূর্তি খুব শিগগিরই বসবে সবংয়ের ইতিহাস বিজড়িত তেমাথানি মোড়ে। এই মোড়ের সৌন্দর্যায়নে সরকার আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। সেই কাজ করছে রাজ্যের পূর্ত দফতর। এই কাজের মধ্যেই ধরা হয়েছে মনীষীদের মূর্তি বসানোর কাজ। মে মাসের মধ্যেই তিন আদিবাসী নেতার মূর্তি বসানো হবে সবংয়ের তেমাথানি মোড়ে। মঙ্গলবার এই কথা জানান সবংয়ের বিধায়ক তথা মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
আরও পড়ুন-এশিয়া যুব অ্যাথলেটিক্সে সোনা জিতে রেকর্ড হেনার
প্রসঙ্গত, রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য তেমাথানি মোড়ে থাকা কয়েকটি মূর্তি আগে সরানো হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী পুলিনবিহারী ভুঁইয়া-সহ বেশ কয়েকজন মনীষীর মূর্তি। কিছুদিন আগে আদিবাসীদের এক সংগঠন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই তেমাথানি মোড়ে হঠাৎই সিধু-কানহুর মূর্তি বসিয়ে দেয়। তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। নবান্ন সূত্রের খবর, মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, আদিবাসীদের সঙ্গে বিবাদে যাওয়ার দরকার নেই। নতুন জায়গা চিহ্নিত করে সেখানে আদিবাসী নেতাদের মূর্তি বসানো হোক। এর পরেই মানসবাবু জানান, ‘‘সিধু-কানহু ও বীরসা মুণ্ডার মূর্তি আমি তৈরি করিয়েই রেখেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে সেগুলিই এবার বসানো হবে। পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিও বসানো হবে।’’
আরও পড়ুন-চারদিনের চামুণ্ডা পুজোয় মাতোয়ারা মন্তেশ্বর
তিনি আরও জানান, ‘‘পরীক্ষার জন্যই জেলা প্রশাসন মূর্তি প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান পিছিয়ে দিতে বলেছিল। না হলে আগেই এগুলি বসে যেত।’’ জানা গিয়েছে, বীরবাহা হাঁসদা, শশী পাঁজা, মলয় ঘটক, জ্যোৎস্না মাণ্ডি-সহ মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য ও আদিবাসী নেতা-নেত্রীকে নিয়ে মূর্তি প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে অনুষ্ঠান হবে সবংয়ে। সেভাবেই পরিকল্পনা করা হয়েছে।