অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের যৌনাঙ্গে আঘাতের অভিযোগ। অচৈতন্য ছাত্র ভর্তি এসএসকেএম হাসপাতালে। উস্থি গ্রাম পঞ্চায়েতের মালঞ্চ মিশনে ঘটেছে ঘটনাটি। রবিবার রাতে আলমপুরের বাসিন্দা আবিদুর রহমান লস্করের পরিবারের কাছে রাত দেড়টা নাগাদ মিশন কর্তৃপক্ষের তরফে ফোন করে জানানো হয় তাদের ছেলে একটি বেসরকারি হাসপাতলে ভর্তি রয়েছে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন সেখানে ছুটে আসে। সেখান থেকে তাকে ডায়মন্ডহারবার সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। পরে অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় আবিদুর রহমানকে।
আরও পড়ুন-“ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের পড়ানোর টাকা নেই কেন্দ্রের কাছে” ক্ষোভ মমতার
ছাত্রের দাদু জানিয়েছেন, ‘নাতির অবস্থা সঙ্কটজনক বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন। প্রেশার অত্যন্ত কম, রক্ত দেওয়া হচ্ছে। মিশনের ভেতরে যদি একজন ছাত্রের নিরাপত্তা না থাকে তাহলে তো যেকোনো সময় অন্যান্য ছাত্রদেরও জীবনহানি হতে পারে। বাইরে থেকে কোন লোক আবাসনের ঘরের ভিতরে ঢুকে এই কাজ করতে পারে বলে তো মনে হচ্ছে না।’
আবিদুর রহমান সপ্তম শ্রেনীতে ভর্তি হয় মালঞ্চ মিশনে। কুড়িজন অষ্টম শ্রেনীর পড়ুয়াদের সঙ্গে সেখানেই থাকতো আবিদুর। গলা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে দাগ রয়েছে বলেও অভিযোগ পরিবারের। মিশনের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে ছাত্রের পরিবার। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানায় আবিদুর রহমানের পরিবার। ঘটনায় উস্থি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রের পরিবার। নিদিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকায় ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। মিশনের প্রধান শিক্ষক আবুলবাসার হালদার বলেন, ‘কারা এই ঘটনা ঘটলো তা জানতে মিশনের পক্ষ থেকে তদন্ত চালাচ্ছি। আসল অপরাধীদের গ্রেফতার করা হোক।’
আরও পড়ুন-‘সিবিআই -ইডি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি’ ক্ষোভপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, আবাসিক ভবনের চারপাশ লোহার গ্রিল দিয়ে ঘেরা। রাতে নির্দিষ্ট সময়ে নিচের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঐদিন গেট বন্ধ ছিল বলে মিশন কর্তৃপক্ষের দাবি। দুষ্কৃতীরা যদি বাইরে থেকে আসত তাহলে গেটের তালা ভাঙা বা কাটা থাকতো, কিন্তু তা ছিল না।