সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : উন্নয়ন হয়নি। হয়েছে দুর্নীতি। শিলিগুড়ির বিগত বামবোর্ডের বিরুদ্ধে জমেছে অভিযোগের পাহাড়। আর এই ঘুঘুর বাসা ভাঙতে মাঠে নেমেছে বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত শিলিগুড়ি পুরসভা। অভিযোগ, বাম আমলে নিয়োগ হওয়া বিল্ডিং বিভাগের একজন বাস্তুকার দীর্ঘদিন ধরেই বদলি না হয়ে একের পর এক অবৈধ বহুতল করে চলেছেন।
আরও পড়ুন-এই সপ্তাহেই ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা, থাকবে গরমও
জানা গিয়েছে, অশোক ভট্টাচার্যের স্নেহধন্য অলোক সরকার নামে ওই বাস্তুকার প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর ধরে শিলিগুড়ি কর্পোরেশনে একই দফতরে কাজ করে চলেছেন। আরও জানা যায়, ওই বাস্তুকার নিজের একটি ফার্ম তৈরি করে প্রমোটিং-এর ব্যবসা ও চালাচ্ছেন। নিজের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে অবৈধভাবে বিল্ডিং-এর প্ল্যানগুলিকে পাশ করিয়ে বানানোই ছিল এই বাস্তুকার-এর মূল কাজ। তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ এই অভিযোগ তুলছে। যদিও এসবের সূত্রপাত হয় গত শনিবার থেকে। অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে টক টু মেয়রে অভিযোগ জানানোয় অভিযোগকারীর বাড়ির সামনে গিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করে গালাগাল করেন কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ার অলোক সরকার।
আরও পড়ুন-বন্দরে রাতেও ঢুকবে জাহাজ
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিলিগুড়ির পুরসভার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার। শিলিগুড়ির দেশবন্ধু পাড়ার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেশায় ব্যাঙ্ক কর্মী স্বপন সরকার দীর্ঘদিন ধরেই বসবাস করেন। তাঁর বাড়ির পাশেই শ্যামাপ্রসাদ দাস নামে এক ব্যক্তি অবৈধভাবে চারতলা বাড়ি বানিয়েছেন। অবৈধভাবে বাড়ি বানানোর কারণে ক্ষতি হচ্ছে স্বপন সরকারের বাড়ি। শনিবার স্বপন সরকারের স্ত্রী টক টু মেয়রে ফোন করে শিলিগুড়ির মহানাগরিক গৌতম দেবকে অভিযোগ জানান। এই অভিযোগ জানানোর পরেই স্বপন সরকারের বাড়ির উপরে চড়াও হন শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার অলোক সরকার। চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এর পরেই অলোক সরকারের বিরুদ্ধে খোঁজ নিতে বিস্তর তথ্য সামনে আসে। তবে শিলিগুড়ি পুরসভার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার বলেন, যা অভিযোগ উঠেছে তা শুনেছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।