সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে রোগীর স্বার্থকে সর্বোচ্চ স্থান দিতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। এক্ষেত্রে কোন গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলে বার্তা দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি কর হাসপাতালে তরুনী ডাক্তারের ধর্ষণ হত্যার ঘটনা থেকে সদ্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের স্যালাইন কাণ্ড। বারবার সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বারংবার অভিযোগ উঠেছে সরকারি চিকিত্সক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকরা নিয়ম মেনে ডিউটি করছেন না। বহু ক্ষেত্রে অভিযোগ ওঠে ডিউটির সময় কোন বেসরকারি হাসপাতাল বা প্রাইভেট চেম্বারে ওই চিকিৎসক ডিউটি করছেন। তাই সরকারি চিকিৎসকদের কাজে সময়ানুবর্তিতা আনতে রাজ্য সরকার এবার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। এবার থেকে সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তাররা নিয়ম মেনে নির্ধারিত সময় ডিউটি করছেন কিনা তা দেখতে কেন্দ্রীয় ভাবে নজরদারি চালানো হবে বলে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য রাজ্যের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারদের আগামী এক মাসের ডিউটি রোস্টার চেয়ে পাঠানো হয়েছে । স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়মিত সারপ্রাইজ ভিজিট করা হবে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন- কাল দিল্লির কুচকাওয়াজে বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ট্যাবলো
আর জি কর আন্দোলনের সময়ও এই অভিযোগ উঠেছিল। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ এর স্যালাইন কান্ডের সময়েও একই অভিযোগ ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের নিয়ম মেনে আট ঘণ্টা করে ডিউটি করার নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরবারংবার সরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের।