প্রতিবেদন : মহানগরীতে শব্দদূষণ প্রতিহত করতে বিশেষ অভিযানে নেমেছে কলকাতা পুলিশ। যানবাহনের মাত্রাছাড়া এবং বিনা প্রয়োজনে হর্ন বাজানোর প্রবণতা রুখতে আদায় করা হচ্ছে জরিমানা। আইন ভাঙার অপরাধে জরিমানার সর্বোচ্চ অঙ্ক ২০০০ টাকা। একইসঙ্গে এই ধরনের প্রবণতার বিরুদ্ধে জনমত গঠনেরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে লাগানো হয়েছে এলইডি বোর্ড। ২৯ জুলাই থেকে ৪ অগাস্ট পর্যন্ত শহরে ‘নো হঙ্কিং উইক’ শুরু হয়েছে ট্রাফিক পুলিশেরই উদ্যোগে।
আরও পড়ুন-বৃষ্টিতে জল জমলেও দ্রুত নেমে গেল
প্রথম কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি কেস দিয়েছেন কর্তব্যরত সার্জেন্টরা। এরমধ্যে ২০৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে ‘নো-হর্ন জোন’ বা ‘সাইলেন্ট জোনে’র নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হর্ন বাজানোর অভিযোগে। বিনা প্রয়োজনে উচ্চমাত্রায় হর্ন বাজানোর অভিযোগে কেস দেওয়া হয়েছে ৫৭৯টি ক্ষেত্রে। ‘মাল্টিটোন হর্ন’–এর কারণে মামলা দায়ের করা হয়েছে ১৩টি ক্ষেত্রে। প্রেসার হর্ন বাজানোর অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এখনও অবধি একজনের বিরুদ্ধে। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই কলকাতা পুলিশের সপ্তাহব্যাপী এই বিশেষ উদ্যোগ। ট্রাইবুনালে এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করতে হবে ৯০ দিনের মধ্যেই।
আরও পড়ুন-জমা জলে মশা মিললে জরিমানা
লক্ষণীয়, আইন ভাঙার বেশিরভাগ ঘটনাই কিন্তু ঘটেছে সপ্তাহান্তে। অন্যান্য কাজের দিনে রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা বাড়লে হর্নের কারণে শব্দদূষণের মাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনাও প্রবল। সেই কারণেই জোরদার করা হয়েছে পুলিশি নজরদারি। মূলত হাসপাতাল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লাগোয়া এলাকাগুলি ট্রাফিক পুলিশের স্ক্যানারে। কলেজ স্ট্রিট, শ্যামবাজার, শিয়ালদহ, পার্ক স্ট্রিট, পার্ক সার্কাস, হেস্টিংস, তারাতলা, মাঝেরহাট এলাকায় অনেক বেশি সংখ্যায় অফিসার-সার্জেন্ট নামানো হয়েছে রাজপথে। বিশেষ বিশেষ পয়েন্টে নজর রাখা ছাড়াও টহলদারিও চলছে শহরজুড়ে। দেখা যাচ্ছে, অন্যান্য গাড়ির তুলনায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন কিন্তু বেশি অমান্য করছেন দু’চাকার যানের চালকরাই। সেই কারণেই রেকর্ড রাখা হচ্ছে আইনভঙ্গকারীদের। জরিমানা ছাড়াও আর কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে ব্যাপারে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আইনজ্ঞদের কাছে পুলিশ পরামর্শ চেয়েছে পুলিশ।