সাতদফা দাবি নিয়ে সংসদে অনড় তৃণমূল

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ চান না চলতি অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে চলুক এবং অধিবেশনের কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে হোক।

Must read

নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ চান না চলতি অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে চলুক এবং অধিবেশনের কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে হোক। মোদি- শাহ’র নির্দেশেই পরিকল্পনামাফিক সংসদে হট্টগোল করে সভা ভণ্ডুল করে দিচ্ছে ট্রেজারি বেঞ্চ। পরপর দু’দিন সভা মুলতুবি হয়ে যাওয়া নিয়ে মঙ্গলবার বললেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর কথায়, আমজনতার স্বার্থের সঙ্গে সরাসরি জড়িত সাতটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা চায় তৃণমূল কংগ্রেস। অথচ সরকার আলোচনা থেকে পালিয়ে যেতে হট্টগোলের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে। আলোচনা এড়িয়ে যেতে সভা ভণ্ডুল করার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সংসদে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদরা।

আরও পড়ুন-নিলামে লিথিয়াম

তৃণমূলের ৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে রান্নার গ্যাস সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামবৃদ্ধি, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর লাগাতার আঘাত, রাজ্যকে আর্থিকভাবে অবরুদ্ধ করা এবং আদানি ইস্যুতে এসবিআই, এলআইসির বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি। বাকি ইস্যুগুলির মধ্যে রয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার, সীমান্ত নজরদারি বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও বেকারত্ব। ডেরেক বলেন, আর ১৪ দিন বাকি রয়েছে দ্বিতীয় পর্বের বাজেট অধিবেশনের। প্রথম সাতদিন এই ইস্যুতে আলোচনা করে বাকি ৭ দিনে বিল আনুক মোদি সরকার।

আরও পড়ুন-‘কাজ করবেন রাজ্যে, কেন্দ্রের হারে টাকা দেওয়া যাবে না’ ডিএ নিয়ে স্পষ্ট বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

এদিকে পরপর সভা ভণ্ডুল হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে বিভিন্ন দলের দলনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়। সংসদের অচলাবস্থা কোন পথে কাটবে, তা নিয়ে আলোচনাই উদ্দেশ্য ছিল। সেখানেও তৃণমূলের তরফে তাদের সাত দফা দাবিকে তুলে ধরা হয়। তৃণমূলের অ​ভিযোগ, পাঁচ এপ্রিল পর্যন্ত সভা বানচালের পরিকল্পিত কৌশল নিয়েছে বিজেপি৷

Latest article