বিশ্বভারতীতে গৈরিকীকরণ সংক্রান্ত প্রতিবাদে ৩ ছাত্র বহিষ্কৃত

Must read

বোলপুর : বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্য হওয়ার পর থেকেই একের পর এক অনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে, ছাত্র-শিক্ষক-কর্মীবিরোধী নির্দেশ দিয়ে কবিগুরুর শান্তির পীঠস্থান বিশ্বভারতীর পরিবেশ অশান্ত করে তুলছেন। বিশ্বভারতীর স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে গেরুয়া ছোপ দেগে দিতে উঠেপড়ে লেগেছেন।

আরও পড়ুন- নাগরিকদের ফেরাতে গিয়েই কি তবে অপহৃত ইউক্রেনের বিমান?

প্রতিবাদ করায় এবার তিন ছাত্রছাত্রীকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করল কর্তৃপক্ষ। এনআরসি/সিএ-র সমর্থনে বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তর বক্তৃতার বিরুদ্ধে সরব হওয়া থেকে, অধ্যাপকদের অনৈতিক সাসপেনশন কিংবা মেলার মাঠে পাঁচিল তোলা যে কোনও বিষয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করলেই ছাত্রছাত্রীদের ভাগ্যে মাওবাদী তকমা জোটে, উপাচার্যের চক্ষুশূল হতে হয়। গোটা বিশ্বভারতীতে এভাবে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছেন তিনি। এর মধেই তিন পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নষ্ট করার মতো ছাত্রস্বার্থ-বিরোধী বহিষ্কার ফরমান জারি করা নিয়ে উত্তাল শিক্ষা মহল।

প্রতিবাদ শুরু হয়েছে নানা মহলে। প্রেসিডেন্সি  ছাত্র সংগঠনের তরফে ঘটনাটিকে রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে গৈরিকীকরণের চেষ্টা ও ফ্যাসিস্ট আক্রমণ বলে মন্তব্য করা হয়। ফাল্গুনী পান, সোমনাথ সৌ ও রূপা চক্রবর্তীদের তিন বছর নষ্ট করার অধিকার উপাচার্য পেলেন কোথা থেকে, এই প্রশ্নও উঠেছে।

আরও পড়ুন- রাতের শহরের নিরাপত্তা বাড়াতে এবার কলকাতা জুড়েই পুলিশের সিসিটিভি

সোমবার রাতে এঁদের হাতে বহিষ্কারের চিঠি ধরিয়ে বলা হয়, যদি কোনও বক্তব্য থাকে বা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করতে হয় তাহলে ২৭ অগাস্টের মধ্যে বিশ্বভারতীর প্রক্টরের কাছে লিখিত আকারে জমা দিতে হবে। সময়সীমা পেরিয়ে গেলে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। চলতি বছরে ১৪ জানুয়ারি অর্থনীতি ও রাজনীতি বিভাগের ছাত্র ফাল্গুনী পান ও সোমনাথ সৌ এবং হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয় সংগীতের ছাত্রী রূপা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি বসিয়ে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সাসপেন্ড করে।

 

Latest article