প্রতিবেদন : ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে কর্তৃপক্ষের ইতিবাচক মনোভাব সত্ত্বেও মেডিক্যাল কলেজের ৫ পড়ুয়া বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু করে দিলেন আমরণ অনশন। কলেজ কর্তৃপক্ষ বারবারই জানিয়েছে, ছাত্র সংসদের নির্বাচনের বিষয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। এ ব্যাপারে তাঁরা যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। কিন্তু নির্বাচন কবে হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে স্বাস্থ্যভবনই। তবুও ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনের দাবিতেই অনড় পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন-সংসদে ইজ্জত মান্থলি চালুর প্রস্তাব শান্তনুর
শুধু তাই নয়, অনশনকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ বিশেষ চিকিৎসক দল পাঠালেও তাঁদের ফিরিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। হবু ডাক্তারদের এমন আচরণে বিস্মিত সাধারণ মানুষ। প্রশ্ন একটাই, একজন চিকিৎসক তৈরি করতে সরকার রীতিমতো বড় অঙ্কের টাকা খরচ করে। শুধুমাত্র ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে সেই হবু চিকিৎসকদের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ মানায় কি? এদিকে পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ভিনরাজ্যের এক রোগীর পরিজন। এর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য দফতর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং আন্দোলনকারীদের আদালতের নির্দেশ, পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে হবে।
আরও পড়ুন-সংসদে ইজ্জত মান্থলি চালুর প্রস্তাব শান্তনুর
শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে মামলাকারীর শিশুসন্তানের কিডনির অপারেশন সম্পূর্ণ করতে হবে। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে কর্তৃপক্ষের মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়ে বলেছেন, আমরা তো সবসময়ই আলোচনা চাইছি। আমাদের ছাত্র ওরা। কিন্তু স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশ ছাড়া আমরা কিছুই করতে পারব না। স্বাস্থ্যভবন থেকে যদি নির্দেশ আসে ২২ ডিসেম্বরই ভোট। আইনশৃঙ্খলা দেখেই।