প্রতিবেদন : কথায় আছে, বাঙালির বাসনার সেরা বাসা রসনায়। আর বর্ষার মরশুমে তা এককথায় হয়ে ওঠে ইলিশ। বাঙালি আর ইলিশ একে অপরের সঙ্গে মেলবন্ধনের জোট বেঁধেছে কয়েক শতাব্দী ধরেই। ইলিশ পছন্দ করেন না এমন বাঙালি খুব কম দেখা যায়। বাঙালির হেঁশেলে ইলিশ ভাপা, সর্ষে ইলিশ, ইলিশ পাতুরি, কালো জিরে বেগুন দিয়ে ইলিশের ট্যালটেলে ঝোল থেকে গরম গরম ইলিশ ভাজা, যেটাই হোক না কেন, সব সময় ভোট তাদের দিকেই। বর্ষায় ইলিশ ডিম দিতে সমুদ্র থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে চলে আসে নদীতে।
আরও পড়ুন-গ্রামীণ এলাকায় ৩৮৩টি রাস্তার জন্য বরাদ্দ ৬৬ কোটি
ইলিশে আছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন। রক্তে কোলেস্টেরল আর ইনসুলিনের মাত্রা কমানো ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে। তবে ইলিশের জোগান কম থাকায় নকল ইলিশে ছেয়ে গিয়েছে শহরতলির বাজার। বারাসত থেকে বারুইপুর, কোন্নগর থেকে কাঁচরাপাড়া, চাঁপদানি থেকে চন্দননগর সব বাজার ছেয়ে গিয়েছে গুজরাটি ইলিশ, চন্দনা ইলিশে। এই নকল ইলিশ কেনার সময় দেখে বোঝা না গেলেও মালুম হবে খাওয়ার সময়। আদতে এই চন্দনা ইলিশ হল সামুদ্রিক সার্ডিন মাছ। দেখতে অনেকটা ইলিশের মতো হলেও, গন্ধ কিছুটা এক হলেও স্বাদে একেবারেই আলাদা। তাই ইলিশ ভেবে দাম দিয়ে এই মাছ কেনা মানেই ডাহা ঠকা।
আরও পড়ুন-কাপ-যুদ্ধে বিরাটরাই ফেভারিট : পিটারসেন
মধ্যবিত্ত ক্রেতা দাম দিয়ে সার্ডিন মাছ কিনে আদতে সেটাই হচ্ছেন। চন্দনা ইলিশের গায়ের রং অত্যধিক চকচকে, পিঠের কাছে কালচে। ইলিশের থেকে চোখ বড়। ইলিশের মতো চ্যাপ্টা আকারও হয় না। তাই কেনার আগে এগুলি মাথায় রাখলে আর ঠকে বাড়ি ফিরতে হবে না।