গ্রামীণ এলাকায় ৩৮৩টি রাস্তার জন্য বরাদ্দ ৬৬ কোটি

নদিয়ায় ৩৮৩টি রাস্তার মধ্যে ২৮৬টি রাস্তা অর্থাৎ প্রায় ২৪৩ কিমি দৈর্ঘ্যর রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। খরচ হয়েছে ৪৪ কোটি ৮৩ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা।

Must read

সংবাদদাতা, নদিয়া : প্রশাসনের তৎপরতায় পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পে দ্রুততার সঙ্গে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৮৬টি রাস্তার কাজ শেষ করে ফেলে এই মুহূর্তে রাজ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে নদিয়া। মাস ছয়েক আগে রাস্তাশ্রী প্রকল্পে ৩৮৩টি রাস্তার জন্য ৬৫ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা অনুমোদন পেয়ে কাজ শুরু করে জেলা প্রশাসন। প্রকল্পের মোট কাজের ৭২ শতাংশ হয়ে গিয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকায় এভাবে রাস্তা হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ‘গর্ত, পিচ উঠে যাওয়া, এবড়োখেবড়ো বা ভাঙা রাস্তার জন্য প্রচণ্ড সমস্যায় পড়তে হত। সেই সমস্যার সমাধান হল।’

আরও পড়ুন-কাপ-যুদ্ধে বিরাটরাই ফেভারিট : পিটারসেন

মাস ছয়েক আগে রাজ্য বাজেটে ঘোষিত নতুন প্রকল্প রাস্তাশ্রীতে নতুন রাস্তা তৈরির পাশাপাশি পুরনো রাস্তারও মেরামত হয়। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের টাকায় প্রকল্পের কাজ হয়। নদিয়ায় ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির জন্য রাস্তা অনুমোদনে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরে প্রজেক্ট পাঠানো হয়েছিল। সেইমতো প্রথমে ১৩২টি রাস্তার অনুমোদন মেলে। ১০৯ কিমি রাস্তার জন্য ১৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। গ্রাম সড়ক যোজনায় ৪১টি রাস্তার প্রায় ৭৮ কিমির জন্য ১৬ কোটি ৬ লক্ষ টাকার অনুমোদনও আসে। জেলা পরিষদের ৪৩ কিমির ২৯ রাস্তার জন্য ৭ কোটি ৯৪ লক্ষের অনুমোদন আসে। গুরুত্ব অনুভব করে কয়েকটি ধাপে এই অনুমোদন মিলেছে। কেন্দ্র বা কারোর উপর মুখাপেক্ষী না থেকে রাজ্যের টাকাতেই নতুন রাস্তা তৈরি ও সংস্কারের কাজে নামে নবান্ন।

আরও পড়ুন-শুরুতেই পাঁচ গোল খেল ভারত

নদিয়ায় ৩৮৩টি রাস্তার মধ্যে ২৮৬টি রাস্তা অর্থাৎ প্রায় ২৪৩ কিমি দৈর্ঘ্যর রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। খরচ হয়েছে ৪৪ কোটি ৮৩ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা। চাকদহে ২০, চাপড়ায় ১৫, হাঁসখালিতে ২০, হরিণঘাটায় ১৪, কালীগঞ্জে ২৩, কৃষ্ণগঞ্জে ১২, রানাঘাটে ১০, নাকাশিপাড়ায় ২৩, নবদ্বীপে ১৫, তেহট্ট ১ ব্লকে ১৩ ও ২ ব্লকে ৭, করিমপুর ১ ব্লকে ১৪ ও ২ ব্লকে ২০, কল্যাণীতে ৬, শান্তিপুরে ১৪, কৃষ্ণনগর ১ ব্লকে ২১ ও ২ ব্লকে ১৫, রানাঘাট ১ ব্লকে ১৯ ও ২ ব্লকে ১৫, কৃষ্ণনগর ১ ব্লকে ১০টি রাস্তা সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকি ৯৭ রাস্তার কাজও চলছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) কৃষ্ণাভ ঘোষ বলেন, ‘রাস্তার অনুমোদন, টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে প্রশাসনিক কর্তারা নিজেরা কাজ দেখভাল করছেন। এই প্রকল্পে নদিয়া রাজ্যে প্রথম সারিতে আছে।’

Latest article