সাফল্য, এক বছরে পথ-দুর্ঘটনা কমল ১০ শতাংশ

পথ-দুর্ঘটনা রুখতে অসামান্য সাফল্য চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের। গত একবছরে পথ-দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার কমেছে দশ শতাংশ।

Must read

সংবাদদাতা, হুগলি : পথ-দুর্ঘটনা রুখতে অসামান্য সাফল্য চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের। গত একবছরে পথ-দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার কমেছে দশ শতাংশ। ৬৪ হাজারেরও বেশি মামলায় জরিমানা আদায় হয়েছে প্রায় আট কোটি টাকা। পথ-নিরাপত্তা সপ্তাহের শুরুতে ট্রাফিক ইয়ারবুক বের করে জানিয়ে দিল চন্দননগর পুলিশ। সোমবার চুঁচুড়ার ঘড়ি মোড়ে পথ-নিরাপত্তা সপ্তাহ কর্মসূচির সূচনা করে চন্দননগর পুলিশ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, ডিসিপি (হেডকোয়ার্টার) ঈশানী পাল, ডিসিপি (শ্রীরামপুর) অর্ণব বিশ্বাস, ডিসিপি (চন্দননগর) অলকানন্দা ভাওয়াল, এডিএসপি (ট্রাফিক) দেবাশিষ সরকার, এসিপি-ডিডি সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্য পুলিশ আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন-বাঘ ধরতে কার্ফু, কয়েকঘণ্টার মধ্যেই জঙ্গলে মিলল মানুষখেকোর রক্তাক্ত দেহ

এদিন চন্দননগর পুলিশের তরফে ট্রাফিক ইয়ারবুক প্রকাশ করা হয়। চন্দননগর পুলিশ কীভাবে গত একবছরে দুর্ঘটনা কমাতে সক্ষম হয়েছে, ইয়ারবুকে সেই তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মোটর ভেহিকেল দফতর গতবছর ৬৪,২৩৩টি মামলা দায়ের করেছে। জরিমানা আদায় করেছে মোট সাত কোটি ৭৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের আওতাভুক্ত ১৮৭.৫৯ স্কোয়ার কিলোমিটার এলাকায় রাজ্যসড়ক জিটি রোড, দিল্লি রোড ও জাতীয় সড়ক রয়েছে। সেখানে প্রতিবছর পথ-দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। কিন্তু পথ-নিরাপত্তায় জোর দেওয়ায় উল্লেখযোগ্যভাবে সেই সংখ্যা কমেছে অনেকটাই। পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, দুর্ঘটনা কমাতে দিল্লি রোডে আলো লাগানো হয়েছে। ট্রাফিক পরিকাঠামো উন্নত করা হয়েছে। সর্বপরি পুলিশ আধিকারিক ও ট্রাফিক পুলিশকর্মীদের পরিশ্রমে দুর্ঘটনায় মৃত্যু কমানো গিয়েছে। অল্পবয়সীরা হেলমেট না পরে বাইক চালানোয় দুর্ঘটনায় তাদেরই মৃত্যু বেশি হয়। তাই লাইসেন্স হলেও হেলমেট পরেই বাইক চালানো উচিত বলে বার্তা কমিশনারের। এদিন স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে পথ-নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতায় বিরাট র‍্যালি হয় চুঁচুড়া শহরে।

Latest article