প্রতিবেদন: অবিশ্বাস্য বলে মনে হলেও সত্যি। বাঘ ধরতে কার্ফু। তবে কার্ফু শুরু হওয়ার মাত্র ৫ ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার হল সেই মানুষখেকো বাঘের মৃতদেহ। গলায় দু’টি গভীর ক্ষতচিহ্ন। রহস্য ঘনিয়ে উঠল তার মৃত্যুকে ঘিরে। নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী কেরলের ওয়ানাড়ে।
কফিবাগানে রাধা নামে এক মহিলার উপরে আচমকাই চড়াও হয়েছিল বাঘটি। তারপরে কামড়ে, ছিঁড়ে তাঁর রক্তাক্ত দেহ ফেলে চলে যায় সে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। মৃত মহিলার বাড়িতে বনমন্ত্রী দেখা করতে গেলে তাঁর গাড়ি আটকান গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভ দেখান নিরাপত্তার দাবিতে। মৃত রাধার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যেতেও বাধা দেয় উত্তেজিত জনতা। বাধ্য হয়ে বাঘটিকে ‘মানুষখেকো’ ঘোষণা করে প্রশাসন। এবং সোমবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার কার্ফু জারি করা হয়। ঘোষণা করা হয়, পাঁচরাকোল্লি, পিলাকাভু, চিরাক্কারা সহ বেশ কিছু এলাকার স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, টিউশন সেন্টার বন্ধ থাকবে। পরে বন দফতর সূত্রেই জানা যায়, যে বাঘটি রাধাকে হত্যা করেছে সেই বাঘটিই রবিবার টহলদারি র্যাপিড রেসপন্স টিমের বনাধিকারিক জয়সূর্যকেও আচমকা আক্রমণ করে গুরুতর জখম করেছে। এরপরেই জোরদার করা হয় মানুষখেকোর খোঁজে চিরুনি-তল্লাশি।
আরও পড়ুন-সাধারণতন্ত্র দিবসে স্কুলে মদ্যপ প্রধান শিক্ষক
আশ্চর্যজনকভাবে কার্ফু শুরুর ঘণ্টা পাঁচেক পরেই ওয়েনাড়ের পাঁচরাকলির কাছে পিলাকাভু এস্টেটে পড়ে থাকতে দেখা যায় মানুষখেকোর ক্ষতবিক্ষত দেহ। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। গলায় দু’টি গভীর ক্ষত। সোমবার ভোররাতে বাঘটির দেহ পাওয়া যাওয়ার পরে মানুষ কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও বাঘের মৃত্যু-রহস্য নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। বন দফতরের যদিও ধারণা, অন্য কোনও বাঘের সঙ্গে সংঘর্ষেই মৃত্যু হয়েছে মানুষখেকোর। কিন্তু চোরাশিকারি বা কিছু গ্রামবাসীর হাতে বাঘটির মৃত্যুর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।