প্রতিবেদন : এই হল বিজেপির আসল রূপ। রাজ্যসভায় শপথ নিয়েই বঙ্গভঙ্গের দাবি তুললেন বিজেপির রাজ্যসভার সংসদ অনন্ত মহারাজ। কোচবিহার, অসম এবং বিহারের কিছুটা অংশ নিয়ে নতুন কেন্দ্রশাসিত রাজ্যের দাবি তুললেন তিনি। এর আগেও পৃথক কেন্দ্রশাসিত রাজ্যের দাবি তুলেছিলেন তিনি, সেই অনুযায়ী রাজ্যসভার সংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই ফের বঙ্গভঙ্গের জোরালো দাবি তুললেন তিনি। আসলে বিজেপির মুখে এক মনে আর এক। রাজ্য বিজেপির যে সমস্ত পুরনো নেতারা ছিলেন, তাঁদের কাউকেই বাংলা থেকে রাজ্যসভার টিকিট দেয়নি দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতারা। দলের সাধারণ কর্মীদের মধ্যেও বাংলা থেকে রাজ্যসভার প্রার্থী বাছাই নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। রাজনীতিবিদ কাউকে প্রার্থী করার বদলে আলাদা রাজ্যের দাবিতে মুখর গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা অনন্ত মহারাজকে প্রার্থী করা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ দলের মধ্যেই। বিজেপির একাংশের দাবি, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে নিজের আসনটি নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় রয়েছেন নিশীথ প্রামাণিক। তাই গ্রেটার কোচবিহারের নেতা অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে তিনি কোচবিহারের রাজবংশী ভোট নিজের দিকে টানতে চাইছেন। কিন্তু একটি লোকসভা আসন নিশ্চিত করতে গিয়ে বঙ্গভঙ্গের পক্ষে সওয়াল করা কাউকে রাজ্যসভায় পাঠানো কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে সংশয় দলের অভ্যন্তরেও। অনন্ত মহারাজের বক্তব্য সম্পর্কে তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy) বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গত এক দশকে লোকসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোটে হারের পর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দেওয়া হচ্ছে শুধুমাত্র বাংলা, বিহার ও অসমকে ভাগ করার বিজেপির অশুভ পরিকল্পনাকে রূপ দেওয়ার জন্য। নিষিদ্ধ চরমপন্থী সংগঠন কেএলওর একজন পলাতক নেতা অসমে আত্মগোপন করে রয়েছেন এবং তিনি বিভাজনকারী গোষ্ঠীকে অস্ত্র শিক্ষা দিচ্ছেন। বাংলার মানুষ বিজেপির এই সমস্ত জঘন্য খেলার বিরুদ্ধে এককাট্টা। বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করবেন বাংলার মানুষ। তাঁর (Sukhendu Sekhar Roy) সংযোজন, এখনও পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রাপ্ত প্রতিনিধিত্ব অনুসারে, মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ, গুজরাটের সৌরাষ্ট্র, আসামের বোরো উপত্যকা এবং কার্বি অ্যাংলং, বুন্দেলখণ্ড এবং পশ্চিমাঞ্চল বা উত্তরপ্রদেশের মতো ২০টি নতুন রাজ্য তৈরির দাবি রয়েছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কেন বাংলাকে ভাগ করার জন্য একক করে রেখেছে? কার্জনের প্রেতাত্মা আর পৈশাচিক বিজেপি সরকার আবারও পরাজিত হবে বাংলার পুণ্যভূমিতে। লক্ষ লক্ষ ক্ষুদিরাম, প্রীতিলতা, মাস্টারদা এবং মাতঙ্গিনী দিল্লি শাহেনশাহদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত।
আরও পড়ুন-কংগ্রেস-সিপিএম যেখানে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবে, সেখানে তাদের একটা ভোটও নয়