কংগ্রেস-সিপিএম যেখানে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবে, সেখানে তাদের একটা ভোটও নয়

যাদবপুরকাণ্ডে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর

Must read

প্রতিবেদন : ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সভায় যাদবপুর নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সোমবার বিকেলে নেতাজি ইনডোরের সভায় মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) বলেন, একটা ছেলেকে কীভাবে অত্যাচার করে সিপিএমের ইউনিয়ন মেরে ফেলল! একটা সময় যাদবপুর আমাদের গর্ব ছিল। সিপিএম বছরের পর বছর ধরে এত রক্ত নিয়েছে, তাও বদলায়নি। এরা কোনও দিন বদলাবে না। ভাবতে খারাপ লাগে। ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, বিজেপির আয়ু তো আর মাত্র ৬ মাস। এই ক’টা মাস কষ্ট করুন। তারপর আমরা সব গুছিয়ে দেব। নেত্রী স্লোগান তোলেন, বিজেপি হঠাও, ইন্ডিয়া বাঁচাও।

আরও পড়ুন-মৃত পড়ুয়ার বাড়িতে তৃণমূল ছাত্ররা, সুদীপের মামলায় কড়া নির্দেশ কোর্টের, ঘটনার পুনর্নির্মাণ

এদিন ইমাম-মুয়াজ্জিনদের উপচে পড়া নেতাজি ইনডোরের সভায় তাঁদের ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে ভাতা বাড়িয়েছেন পুরোহিতদেরও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে ইমাম-মুয়াজ্জিন ও পুরোহিতদের ৫০০ টাকা করে ভাতা বাড়ানো হল। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই হাততালির ঝড় ওঠে গোটা ইনডোর জুড়ে। রাজ্যে রামধনু জোটের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যেখানে কংগ্রেস-সিপিএম বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বা ভবিষ্যতেও মেলাবে সেখানে সব ভোট তৃণমূল কংগ্রেসকেই দিন। কারণ একমাত্র মা-মাটি-মানুষের সরকার আপনাদের পাশে থাকে। আগামী দিনেও থাকবে। মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, আমি বাংলায় দাঙ্গা করতে দেব না। আপনারা কারও প্ররোচনায় পা দিয়ে উত্তেজিত হবেন না। তাঁর সংযোজন, আপনারা উত্তেজিত হয়ে কোনও গন্ডগোলে জড়ালে বিজেপি বলবে সংখ্যালঘুরা ‘টেররিস্ট’। গোটা দেশে একমাত্র পশ্চিবঙ্গেই সব থেকে বেশি সংখ্যালঘু-উন্নয়ন হয়েছে। সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংখ্যালঘু স্কলারশিপে বাংলা এক নম্বর। গত ১২ বছরে তিন কোটি ৬৩ লক্ষ সংখ্যালঘু স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ওবিসি-দের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কেন জানেন, এ রাজ্যে ৯৭ শতাংশ সংখ্যালঘু ওবিসি-র মধ্যে পড়েন। এছাড়া শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, কোনও প্রকল্পেই হিন্দু-মুসলিমে কোনও ভেদাভেদ নেই। ভাতার পাশাপাশি ইমাম মোয়াজ্জেম বা তাঁদের পরিবারের কোনও সদস্য ব্যবসা করে স্বনির্ভর হতে চাইলে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের আওতায় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সরকারি গ্যারান্টিতে ঋণ দেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।

Latest article