বুলডোজার-কাণ্ডে শেষ পর্যন্ত প্রবল চাপে পড়ল উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার। বুলডোজার চালিয়ে বাড়ি ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে জবাব চাইল সর্বোচ্চ আদালত। তিনদিনের মধ্যে শীর্ষ আদালতের কাছে বক্তব্য জানাতে হবে যোগী সরকারকে। সরকারের তরফে একের পর এক বাড়ি ভাঙার ঘটনায় জামিয়াত উলেমা-ই-হিন্দের তরফে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয় যোগী সরকারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, সঠিক প্রক্রিয়া না মেনে বাড়ি ভাঙা যাবে না। আগামী সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানি হবে। যদিও এদিনের শুনানিতে উত্তরপ্রদেশ সরকার জানায়, নিয়মমতোই বাড়ি ভাঙা হয়েছে। কোনও বিশেষ সম্প্রদায়কে নিশানা করে বাড়ি ভাঙার কাজ করা হয়নি। কিন্তু অভিযোগকারীরা পাল্টা জানান, বাড়ি ভাঙার আগে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি।
এই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, সরকার অনেক সময় পাবে অভিযোগ জানানোর জন্য। কিন্তু তার মধ্যে সব নাগরিককে সুরক্ষিত রাখতে হবে। সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়েই সমাজ গড়ে ওঠে। তাই তাঁদের কোনও সমস্যা হলে, তার সমাধান করার চেষ্টা সরকারকেই করতে হবে। বাড়ি ভাঙার মতো কাজ করতে গেলে তা আইন মেনেই করতে হবে। অভিযোগ একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষকে উদ্দেশ্য করে বুলডোজার চালাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেখানকার সাম্প্রতিক অবস্থার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছিলেন ১২ জন বিচারপতি। তাতে জানানো হয়, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেছিলেন প্রতিবাদীরা। কিন্তু তাঁদের কথা বলার সুযোগ দিচ্ছে না উত্তরপ্রদেশ সরকার। বরং তাঁদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক পদক্ষেপ করতে উৎসাহ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। আধিকারিকদের বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। প্রসঙ্গত, জামিয়াত উলেমা-ই-হিন্দ ছাড়াও যোগী সরকারের এই স্বেচ্ছাচারিতার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন প্রাক্তন বিচারপতি ও ১২ জন আইনজীবী। চিঠিতে লেখা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেছিলেন প্রতিবাদীরা।