প্রতিবেদন : স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে আরও কড়া সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়ে দিল, যেসব নার্সিংহোমে কমপক্ষে ১০টি শয্যা থাকবে, সেই নার্সিংহোমকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আসতে হবে। এই নির্দেশের অন্যথা হলে ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী সেই নার্সিংহোমের লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হতে পারে। স্বাস্থ্য দফতরের স্পষ্ট কথা, স্বাস্থ্যসাথী একটি সামাজিক প্রকল্প। রাজ্যের মানুষ যাতে বিনা খরচে এই প্রকল্পের সুবিধা পান তার জন্যেই এই পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন-বিধানসভায় হাজির হলেন মানিক, প্রশ্নের মুখে লুক আউট নোটিশ
২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এনিয়ে বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এই নির্দেশ না মানায় এবার স্বাস্থ্য দফতর কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামছে। কর্পোরেট হাসপাতালগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই প্রকল্পের আওতায় এলেও জেলার নার্সিংহোমগুলি অনেক ক্ষেত্রেই নির্দেশ পালন করছে না। রাজ্যে প্রায় ৪,২০০ নার্সিংহোম রয়েছে। যার মধ্যে ১,৭০০টি নার্সিংহোমের শয্যাসংখ্যা ১০-১০০ বেডের মধ্যে। প্রতি মাসে শুধু স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পেই খরচ ৩০০ কোটি। রোগী হাসপাতাল বা নার্সিংহোম ছাড়ার এক মাসের মধ্যে বিল মিটিয়ে দেওয়া হয়। নিশ্চিতভাবে রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে উপকৃত সাধারণ মানুষ।