প্রতিবেদন : লোকসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই বির্পযয়ের আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়ছে বিজেপি। আর সেই কারণেই পুরনো বন্ধুদের ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠছে তারা। কিন্তু মুশকিলটা হচ্ছে কারও কাছ থেকেই এখনও পর্যন্ত কোনও ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছে না গেরুয়া শিবির। তামিলনাড়ু (Tamil Nadu-Odisha-Punjab) থেকে শুরু করে ওড়িশা কিংবা পাঞ্জাব- সব জায়গাতেই একই ছবি।
তামিলনাড়ুতে স্পষ্টতই বিজেপির পায়ের নিচে কোনও মাটি নেই। এআইএডিএমকের সঙ্গে সখ্যতা কেটে যাওয়ার পর তারা আরও গভীর সঙ্কটে। লক্ষণীয়, এই বিচ্ছেদের জন্য কিন্তু বিজেপির রাজ্য নেতাদেরই দায়ী করেছিলেন এআইএডিএমকে নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ ছিল, বিজেপি রাজ্যনেতা কে আন্নামালাই এআইএডিএমকের প্রতিষ্ঠাতা এম জি রামচন্দ্রন এবং তাঁর পৃষ্ঠপোষক সিএন আন্নাদুরাই সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। তাঁদের দলের প্রবীণ নেতাদেরও অশ্রদ্ধা করেছিলেন। এই কারণেই বিজেপির সঙ্গে নতুন করে জোটবন্ধনে তাঁদের অনেকেরই আপত্তি। অগত্যা, একা লড়াইয়ের কথা ভাবছে বিজেপি। তবুও এআইএডিএমকের সঙ্গ ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে হাল ছাড়ছে না বিজেপি। আশ্চর্যজনকভাবে তাদের পোস্টারে এমজিআর এবং জয়ললিতার ছবি ব্যবহার করে এআইএডিএমকে নেতৃত্বের মন গলাতে চাইছে গেরুয়া দল। ওড়িশায় (Tamil Nadu-Odisha-Punjab) একইভাবে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের বিজেডিকে লোকসভা নির্বাচনে ফিরে পেতে মরিয়া বিজেপি। নরেন্দ্র মোদি এবং নবীন পট্টনায়কের পারস্পারিক প্রশংসার বহর দেখে অবাক রাজনৈতিক মহল। ১৯৯৮-এ পথ চলার শুরুতে বিজুপুত্র গেরুয়া নেতৃত্বের হাত ধরলেও বেশি সময় লাগেনি বিচ্ছেদ হতে। সময় যত এগিয়েছে, ততই তিক্ত হয়েছে দু’দলের সম্পর্ক। অনেকদিন পরে নীতিনৈতিকতার মাথা খেয়ে আবার বিজেডিকে কাছে টানার চেষ্টা করছে বিজেপি। জোট বাঁধার শর্ত একটাই, লোকসভা নির্বাচনে বেশিরভাগ আসনই ছাড়তে হবে বিজেপিকে। অন্যদিকে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেডিকেই অধিকাংশ আসন ছেড়ে দেবে বিজেপি। কিন্তু মুশকিলটা হচ্ছে, এই শর্তে আপত্তি জানাচ্ছেন দু’দলেরই বেশকিছু প্রভাবশালী নেতা। গোটবন্ধনের বিনিময়ে তাঁদের স্থানীয় সংগঠন বা নিজস্ব প্রভাব হারাতে রাজি নন তাঁরা। সুযোগসন্ধানীর সংখ্যাও কম নয় ওড়িশার রাজনীতিতে। সুযোগ বুঝে বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যেই বিজেডি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। তাঁদের মধ্যে আছেন এমন এক নেতা যিনি মাত্র কিছুদিন আগেই দূরন্তবেগে গাড়ি চালিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন বিজেপির মিছিলে। ফলে আহত হয়েছিলেন অন্তত ২০জন। এমন একজন নেতাকে বিজেপিতে জায়গা দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে দলের অন্দরে। আবার বিজেপি দলবদলে উসকানি দেওয়ায় দারুন চটেছে বিজেডির একাংশও। এই অবস্থায় সমাধানসূত্র খুঁজতে বুধবার বিজেডি সুপ্রিমো নবীন পট্টনায়ের বাড়িতে হাজির হয়েছেন বিজেডির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। অন্যদিকে পাঞ্জাবের ফের বিজেপি এবং শিরোমণি আকালি দলের নির্বাচনী জোটের আশাতেও জল ঢেলে দিয়েছে আবার শুরু হওয়া জোরদার কৃষক আন্দোলন।
আরও পড়ুন- অন্নপূর্ণা অন্ত্যোদয় যোজনায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৬৫ হাজার পরিবার