দেবর্ষি মজুমদার, তারাপীঠ: আবির্ভাব দিবসে তিলধারণের জায়গা থাকে না তারাপীঠে। বিশেষ দিনে মাতারার দর্শণ করতে দূরদূরান্ত থেকে আসেন ভক্তরা। কিন্তু এবার দেখা গেল অন্য দৃশ্য। করোনা আতঙ্কে মন্দিরচত্ত্বর ছিল প্রায় ফাঁকা। প্রশাসনের নির্দেশ মেনে বিধিনিষেও ছিল কঠোর। করোনা বিধি মেনে মঙ্গলবার ভোর রাতে ভক্তরা পুজো দেন। নিরাপত্তার দিকে নজর দিতে মন্দিরের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।
আরও পড়ুন : দার্জিলিঙে দশমাইলে ধস
আবিরর্ভাব দিবসের মূল বিশেষত্বই হল উত্তর থেকে পশ্চিমমুখী করা হয় মা তারার মুখ। এই রূপ দেখার জন্যই মন্দির চত্বরে অপেক্ষা করেন ভক্তরা। তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, ‘বশিষ্ঠ মুনি এই দিনে তারা মার দর্শণ পেয়েছিলেন। তাই এই বিশেষ দিনটিকে আবির্ভাব দিবস হিসেবে ধরা হয়। এই দিন মাতারাকে মূল মন্দির থেকে বের করে আনা হয় ভোর তিনটে নাগাদ। মাকে বসানো হয় মন্দির সংলগ্ন বিরাম মঞ্চে।সারা বছর মা উত্তর মুখে অধিষ্ঠান করেন। এই দিন পশ্চিম মুখে অধিষ্ঠিত কারণ মা ঝাড়খণ্ডের মলুটির মা মৌলিক্ষা তাঁর বোনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।’ সাধারণ ভক্তরা এদিন মাকে স্পর্শ করে পুজো দিতে পারেন। এদিন মাতারাকে দুপুরে কোন ভোগ নিবেদন করা হয় না। তারাপীঠের বাসিন্দাদের তাই এদিন অরন্ধন।দিনে লুচি সুজির ভোগ হয়। রাতে পাঁচ রকম ভাজা, পোলাও, খিঁচুরি, মাছ, বলির মাংস ও তন্ত্রমতে কারণসুধা দিয়ে মায়ের পূজা হয়। এদিন সন্ধ্যায় মাতারাকে মূল মন্দিরে ফিরিয়ে আনা হয়।সেখানে ভোগ নিবেদনের পর সকালের উপবাস ভঙ্গ হয়।