প্রতিবেদন : মঙ্গলবার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে শুরু হল প্রাথমিক টেটের ইন্টারভিউ। ২০১৪ এবং ২০১৭-য় টেট পাশ করা প্রার্থীদের প্রথম দফার ইন্টারভিউতে ডাকা হয়েছে। প্রথম দিন দুশোজন প্রার্থীকে ডাকা হয়েছে। ইন্টারভিউ হচ্ছে সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সদর দফতরে। এদিন শুধুই কলকাতা জোনের প্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। স্বচ্ছতার স্বার্থে পুরো ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। করোনা উদ্বেগের মধ্যে প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ মেনেই চলে ইন্টারভিউ।
আরও পড়ুন-শুরু বইমেলা, চলবে উত্তরবঙ্গ পরিবহণের অতিরিক্ত বাস
এদিন ২০০ জন প্রার্থীকে মোট দু’ভাগে ভাগ করে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চলে। পর্ষদ দফতরের নিচে প্রথমে প্রার্থীদের বসানো হয়। সেখান থেকে পাঁচজন করে প্রার্থীদের দোতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। অত্যন্ত গোপনীয় ভাবে চলে গোটা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। ইন্টারভিউয়ের টেবিলে রয়েছেন মোটি তিনজন পরীক্ষক। চলছে ভিডিওগ্রাফি। ইন্টারভিউ নেওয়ার রাখা হয়েছে হোয়াইট বোর্ড ও মার্কার। সেখানে পরীক্ষার্থীদের অ্যাপ্টিটিউড টেস্টও নেওয়া হয়। দেখা হয় তাঁদের ক্লাসে পড়ানোর দক্ষতাও।
আরও পড়ুন-আজ থেকে ফিরবে শীত
এক কথায়, কোথাও যাতে কোনও প্রশ্ন না ওঠে সেদিকে সতর্ক নজর রেখেছেন পর্ষদ কর্তারা। এর জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুমও। এর আগে ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট হয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতেই খালি নিয়োগ হয়েছিল। ২০১৭ সালের টেটের পর কোনও নিয়োগ হয়নি। এদিন ইন্টারভিউয়ে ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের মেধাতালিকা ধরেই ডাকা হয়েছিল। এই ইন্টারভিউয়ে পার্শ্বশিক্ষকদের সুযোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তবে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, প্রাথমিকের নিয়োগে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করা হবে না।