সংবাদদাতা, আসানসোল : ৭১ বছরেরও বেশি সময় ধরে পিয়ালবোড়োর বাসিন্দারা বিশ্বাস করেন এক রাতের জন্য ভূতেরা মুক্তি পায় পিয়ালবোড়োর শ্মশানঘাটে। ভূত চতুর্দশীর রাতে ঘটে মুক্তিলাভ, পরের দিনই ফের মন্ত্রতন্ত্রে গাছে বাঁধা পড়ে ভূতেরা। আসানসোলের মহীশিলা গ্রামের ১ নম্বর কলোনির শ্মশানঘাটে ভূতচতুর্দশীর দিন থেকে সাজ-সাজ রব। এই গাছেই ভূতদের বেঁধে দিয়েছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপার প্রধান শিষ্য বনমালী ভট্টাচার্য। প্রায় ৭১ বছর আগের সে কাহিনি আজ মিথে পরিণত। মানুষের বিশ্বাস গাছে বাঁধা-পড়া তেনারা আজও রয়েছেন স্বমহিমায়। আসানসোলের রায় পরিবারের জমিদার তান্ত্রিক বনমালী ভট্টাচার্যকে আশ্রম গড়তে জমি দেন। পিয়ালবোড়োর শ্মশান-সংলগ্ন স্থানে তিনি সাধনক্ষেত্র গড়েন। কিন্তু আশ্রম করতে গিয়ে বিপত্তি। ওখানে নাকি ভূতের এমনই উপদ্রব ছিল যে গ্রামের কেউ মারা গেলে রাতে শ্মশানে নিয়ে যেতেও ভয় পেতেন। এখন শ্মশান নেই। আছে আশ্রমের পঞ্চমুণ্ডির আসন। বনমালী ভট্টাচার্যের পর পুজোর দায়িত্ব নেন শম্ভুনাথ ভট্টাচার্য। তার পর বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য কার্তিক অমাবস্যার আগে ভূত চতুর্দশীতে কালীপুজো করেন। শিবাভোগ ও ভৈরব ভোগ দান করা হয়। ভোগের উপাচার মদ আর মাংস। কালীপুজোর (kali puja) পরে ভূতেদের বেঁধে দেওয়া হয়। এই রীতি আজও চলে আসছে পরম্পরা মেনে।
আরও পড়ুন- চম্পাহাটির পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ বাজি ব্যবসায়ীদের