মার্শের ব্যাটিং-তাণ্ডবে উড়ে গেল বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ৩০৬/৬ (৫০ ওভার) অস্ট্রেলিয়া ৩০৭/২ (৪৪.৪ ওভার)

Must read

পুণে, ১১ নভেম্বর : গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের পর মিচেল মার্শ! চলতি বিশ্বকাপ সাক্ষী রইল আরেক অস্ট্রেলীয় (Australia- Bangladesh) ব্যাটারের ব্যাটিং-তাণ্ডবের। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ১২৮ বলে অপরাজিত ২০১ রানের অবিশ্বাস্য ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছিলেন ম্যাড ম্যাক্স। শনিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৩২ বলে অপরাজিত ১৭৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস এল মার্শের ব্যাট থেকে।
নিটফল, ৩০৭ রান তাড়া করতে নেমে মার্শের দাপটে ৩২ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। নিয়মরক্ষার ম্যাচে ম্যাক্সওয়েলকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। ডাগআউটে বসে সতীর্থের বিস্ফোরক ব্যাটিং উপভোগ করলেন তিনি। এবার বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল খেলতে কলকাতায় আসছেন প্যাট কামিন্সরা।
রান তাড়া করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ১২ রান তুলতে না তুলতেই ট্র্যাভিস হেডের (১১) উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নারের (৬১ বলে ৫৩) সঙ্গে ১২০ রান যোগ করে পরিস্থিতি সামাল দেন মার্শ। এরপর স্টিভ স্মিথের (৬৪ বলে অপরাজিত ৬৩) সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য তৃতীয় উইকেটে ১৭৫ রান যোগ করে দলকে জয় উপহার দেন। মার্শের ঝোড়ো ইনিংস সাজানো ছিল ১৭টি চার ও ৯টি ছয় দিয়ে।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে চলতি বিশ্বকাপে প্রথমবার তিনশোর বেশি রান করেছিল বাংলাদেশ। দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ আহমেদ প্রথম উইকেটে ৭৬ রান যোগ করে ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। লিটন ও তানজিদ দু’জনেই ব্যক্তিগত ৩৬ রানে আউট হন। এরপর দলকে টানেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন ও তৌহিদ হৃদয়। নাজমুল ৫৭ বলে ৪৫ করে রান আউটের শিকার হন। হৃদয়ের অবদান ৭৯ বলে ৭৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস। অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহও (২৮ বলে ৩২) ভাল ব্যাট করেন। মুশফিকুর রহিম ২১ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ২৯ রান করেন। অস্ট্রেলীয় (Australia- Bangladesh) বোলারদের মধ্যে দু’টি করে উইকেট পান অ্যাডাম জাম্পা ও শন অ্যাবট।

আরও পড়ুন- সব অঙ্ক জলে, বিদায় পাকিস্তান

Latest article