চম্পাহাটির পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ বাজি ব্যবসায়ীদের

Must read

সোমনাথ বিশ্বাস, চম্পাহাটি: কালীপুজো আর দীপাবলি মানেই বাজির (Crackers) উৎসব। যদিও এবার রাজ্যে বাজি কারখানা নিয়ে বিশেষ সতর্ক প্রশাসন। কিছুক্ষেত্রে কড়াকড়ি বেড়েছে। একাধিক চেনা বাজারে দেখা মিলছে না চকোলেট, লঙ্কা পটকা, দোদোমা কিংবা শেলের মতো শব্দবাজি। পরিবেশবান্ধব বাজির ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই, কিন্তু চাহিদার তুলনায় জোগান কম। এক্ষেত্রে রাজ্যবাসীকে অনেকটাই ভরসা জুগিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটির বাজি-বাজার। বাজি-শিল্পের জন্য চম্পাহাটির হাড়াল গ্রাম বিখ্যাত। সারা বছরই কমবেশি বাজির ব্যবসা করে রুজি-রোজগার এই গ্রামের কয়েক হাজার পরিবারের। এবারও কালীপুজোর আগে ভিড় বেড়েছে চম্পাহাটিতে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এসে রকমারি বাজি কিনছেন চম্পাহাটির বাজি-বাজার থেকে।
শব্দবাজিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবারও। ক্রেতারাও শব্দবাজি থেকে আতশবাজিতেই (Crackers) মজেছেন। চম্পাহাটির বাজারে বিকল্প হিসেবে রঙিন বাজি কেনার ঝোঁক বেড়েছে। রাজ্যে বেশকিছু দুর্ঘটনার জন্য দীর্ঘ ১১ মাস বাজি তৈরি বন্ধ ছিল এই হাড়াল গ্রামেও। অবশেষে সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাজির কারখানাগুলি বাজি তৈরির অনুমতি পায় মাত্র একমাস আগে। হাতে সময় কম থাকলেও দীপাবলি ও কালীপুজোর আগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দিনরাত এক করে বাজি তৈরি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এই গ্রামে কয়েক লাখ মানুষ এই বাজি-শিল্পের উপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। সরকারি সমস্ত নির্দেশিকা মেনেই সকলে ব্যবসা করতে চান। এবার প্রশাসনিক সহযোগিতাও মিলেছে। না হলে এই শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে, কর্মহীন হয়ে পড়বেন কয়েক হাজার মানুষ। এ-প্রসঙ্গে চম্পাহাটি হাড়াল গ্রিন বাজি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক অর্জুন মণ্ডল জানান, এবার গ্রামের ৪০০ জনকে বাজি বিক্রির বৈধ লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। বাকি মানুষজন ওই ৪০০ জনের সঙ্গে কাজে হাত মিলিয়েছেন। বাজির ব্যবসা বাঁচিয়ে রাখতে রাজ্য সরকারের একাধিক ইতিবাচক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন চম্পাহাটির বাজি-ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন- মিটার ছাড়া মিলবে না জলের সংযোগ, সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার

Latest article