গাছের শরীরে বাউল যাদুবিন্দুর চেহারা, ভক্তরা দিচ্ছেন পুজো

গ্রামের মানুষ জানান, যাদুবিন্দু গোঁসাইয়ের সমাধিস্থলে থাকা অশ্বত্থগাছের গায়ে ফুটে ওঠা দুটি চোখ-সহ জটার আকৃতির অবয়বটি যাদুবিন্দুর রূপ।

Must read

সংবাদদাতা, কাটোয়া : পূর্বস্থলী ১ ব্লকের পাঁচলকি গ্রামে সাহেবধনী সম্প্রদায়ের খ্যাতনামা পদকর্তা যাদুবিন্দু গোঁসাইয়ের আশ্রম ও সমাধিস্থলে রয়েছে একটি অশ্বত্থগাছ। সেই গাছের গায়ে ফুটে উঠেছে মানুষের মুখের আদল। এটি যাদুবিন্দু গোঁসাইয়ের মুখ মেনে পুজো শুরু করেছেন তাঁর ভক্তরা।

আরও পড়ুন-শতাব্দীপ্রাচীন জগদ্ধাত্রী কাটোয়া, কালনা, কেতুগ্রামে

বিজ্ঞানমঞ্চের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য দেবব্রত মুখোপাধ্যায় অবশ্য একে ‘দৃষ্টিবিভ্রম’ বলে জানিয়ে বলেন, ‘এটা প্রাকৃতিক নিয়মেই হয়ে থাকে। এর মধ্যে অলৌকিকত্বের বিষয় নেই। চোখের ভুল ছাড়া অন্য কিছুই নয়।’ বুধবার সন্ধ্যায় এই খবর পেয়ে হাজির হন এলাকার বিধায়ক, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘এই গ্রামে এক সময় আড়াইশো ঘরের উপর সাধক বাউল বাস করতেন। খড়ি ও গঙ্গার এই সঙ্গমস্থলে সাধনা করেতন। এঁরা মানবধর্মের গান রচনা করেছেন। যাদুবিন্দু গোঁসাইয়ের বাসস্থান ছিল এই গ্রামে। তাঁর গানে তৎকালীন সামাজিক সমস্যা, জাতপাতের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষিত হয়েছে।’

আরও পড়ুন-কৃষকদের স্বার্থে সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের উদ্যোগ

গ্রামের মানুষ জানান, যাদুবিন্দু গোঁসাইয়ের সমাধিস্থলে থাকা অশ্বত্থগাছের গায়ে ফুটে ওঠা দুটি চোখ-সহ জটার আকৃতির অবয়বটি যাদুবিন্দুর রূপ। খবর শুনে বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁর ভক্তরা এসে পুজো দিচ্ছেন। উপচে পড়ছে ভিড়। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ নিজের বিধায়ক তহবিলের টাকায় এখানে মন্দির, সমাধিক্ষেত্র সংস্কার ও গোটা এলাকা ঘিরে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

Latest article