মোদির বারাণসীতেই মুখ থুবড়ে পড়ল বিজেপি

বিজেপির দুর্গে এমন লজ্জার হারে মুখ লুকোতে ব্যস্ত রাজ্যের নেতারা। মুখ বাঁচাতে তাঁরা বিধান পরিষদের সার্বিক ফলকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছেন

Must read

প্রতিবেদন : নরেন্দ্র মোদির খাস তালুক বারাণসীতেই মুখ থুবড়ে পড়ল বিজেপি। বিধান পরিষদের নির্বাচনে বারাণসীতে জয় পাওয়া তো দূরের কথা, বরং নির্দল প্রার্থীর কাছে জামানত খুইয়ে কোনওক্রমে তৃতীয় স্থান পেয়েছে গেরুয়া দল। বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর খোদ মোদির কেন্দ্রে এমন লজ্জার ফলাফলে হতবাক গেরুয়া শিবিরের নেতারাও। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ভোটের ফলে মোদিকে বার্তা দিয়েছে বারাণসীর জনতা। জ্বালানির দামে আগুন, ওষুধের দাম, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার ফলে জনজীবন যেভাবে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে তার বিরুদ্ধে এই রায় দিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করেছে জনতা। বিজেপির দুর্গে এমন লজ্জার হারে মুখ লুকোতে ব্যস্ত রাজ্যের নেতারা। মুখ বাঁচাতে তাঁরা বিধান পরিষদের সার্বিক ফলকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছেন। যদিও প্রধানমন্ত্রীর খাস তালুকে বিজেপি কীভাবে তৃতীয়, সেই ব্যাখ্যা কেউই দিতে পারছেন না।

আরও পড়ুন-সামন্ততান্ত্রিক! খেদ বিচারপতির

এমনিতে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার উচ্চকক্ষের অধিকাংশ আসন বিজেপির ঝুলিতে গেলেও সবচেয়ে বড় কাঁটা হয়ে রইল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লোকসভা কেন্দ্র বারাণসী। এখানে শুধু যে লজ্জার পরাজয় হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তাই নয়, দ্বিতীয় স্থানও পায়নি বিজেপি। গেরুয়া দল এখানে তৃতীয় হয়েছে এবং প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ বিধান পরিষদের ২৭টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২৪টি পেতে চলেছে বিজেপি। তিনটি যাচ্ছে নির্দলদের ঝুলিতে। হতাশাজনক ফল করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি।

আরও পড়ুন-৭২ বছরের গরমের রেকর্ড ভাঙল দিল্লি!

অন্যদিকে বারাণসী কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী জয়ী হওয়া তো দূরের কথা, একেবারে তিন নম্বর স্থানে নেমে গিয়েছেন। মন্দিরনগরী থেকে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী অন্নপূর্ণা সিং। এখানে গণনা শেষে দেখা গিয়েছে, অন্নপূর্ণার কাছে বিজেপি এবং সমাজবাদী পার্টি দুই দলের প্রার্থীই জামানত খুইয়েছেন। এই কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৯ জন। ভোট দিয়েছেন ৪৮৭৬ জন। ১২৭টি ভোট বাতিল হয়েছে। মোট বৈধ ভোটের মধ্যে অন্নপূর্ণা সিং ৪২৩৪টি ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও আরও দুই নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। উল্লেখ্য, বিধান পরিষদের নির্বাচনে বিধায়ক, পঞ্চায়েত সদস্য এবং কাউন্সিলররা ভোট দেন।

Latest article