গাড়ির শোরুম থেকে উদ্ধার হল ক্রেতার ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটি সাহেব কলোনি এলাকায়। একমাস আগে নৈহাটি সাহেব কলোনি এলাকার একটি গাড়ি শোরুম থেকে ফাইনান্স এ নতুন গাড়ি কিনেছিলেন সাদ্দাম হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি। গাড়ি কেনার প্রথম কিস্তির ৪৫ হাজার টাকার চেক বাউন্স হওয়ায় বাইক ক্রেতা সাদ্দাম হোসেন কে শোরুম থেকে ডাকা হয় মঙ্গলবার। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি সাদ্দাম। বুধবার শোরুম থেকেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় সাদ্দামের।
আরও পড়ুন-আগামী বছর ২০২৩-এর ১-৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
বাড়ির লোক খবর পেয়ে শোরুমে পৌঁছে দেখেন শোরুমের পিছনে বাথরুমে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে সাদ্দাম। পরিবারের অভিযোগ, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের বাড়ির ছেলেকে। ঘটনার আগে ওই যুবক তাঁর কয়েকজন বন্ধুকে ফোন করেছিলেন। পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা কয়েকটি কল রেকর্ডিং প্রকাশ্যে এসেছে। তাতেই শোনা গিয়েছে সাদ্দাম ফোন করে তাঁর এক বন্ধুকে বলছেন, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টাকা পাঠা। ওরা আমাকে এমন মারছে ভাই, মেরে দেবে। আর সহ্য করতে পারছি না। সাত-আট জন মিলে মারছে। টাকাটা ম্যানেজ করে পাঠা।”
আরও পড়ুন-‘বিজেপি বাংলায় রাজনীতি করার যোগ্য নয়’, স্পষ্ট জানালেন কুণাল ঘোষ
সাদ্দাম হোসেনের পরিবারের দাবি, সাদ্দাম ফোনে জানিয়েছিলেন শোরুমে তাঁর ওপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে। তাঁকে মারধর করা হচ্ছিল বলেও জানান। এমনকি তিনি বলেছিলেন, বাড়ি থেকে যতটা দ্রুত সম্ভব টাকা নিয়ে আসতে, যাতে টাকা দিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান তাঁরা। খবর পেয়ে ওই শোরুমে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তখনও শোরুমের লোকজন তাঁদের সঙ্গে ভালো ভাবে কথা বলেননি। সাদ্দাম কোথায়, সেই উত্তরও ঠিকভাবে দিতে পারেননি তাঁরা। এরপরই শোরুমের একটি ঘরে সাদ্দামের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন-এবারে BGBS-এর দুদিনে রাজ্যে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগের প্রস্তাব : মুখ্যমন্ত্রী
সাদ্দামের ঝুলন্ত দেহ দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান শোরুমের কর্মীদেরও একাংশ। তাঁদের দাবি, আত্মাঘাতী হয়েছেন সাদ্দাম। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, সাদ্দামকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। নৈহাটি থানার পুলিশ গিয়ে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সাদ্দামের এক আত্মীয় বলেন, “জলজ্যান্ত ছেলেটা শোরুমে গেল, আর হঠ্ করে আত্মহত্যা করল? এমনটা হয় নাকি ! ওরাই মেরে ফেলেছে ছেলেটাকে।” যদিও শোরুম কর্তৃপক্ষের থেকে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নৈহাটি থানার পুলিশ।