জাতীয় পতাকায় মুড়ে ফিরল জওয়ানের দেহ, মৃত্যুর কারণ অজ্ঞাতই

কাশ্মীরে রহস্যজনকভাবে মৃত সিআরপিএফ জওয়ানের জাতীয় পতাকায় মোড়া মরদেহ সেনার গাড়িতে পাঠানো হল বীরভূমের কীর্ণাহারে।

Must read

সংবাদদাতা, বীরভূম : কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মতোই সেনা কর্তৃপক্ষের অপদার্থতাও চরমে। কাশ্মীরে রহস্যজনকভাবে মৃত সিআরপিএফ জওয়ানের জাতীয় পতাকায় মোড়া মরদেহ সেনার গাড়িতে পাঠানো হল বীরভূমের কীর্ণাহারে। অথচ কীভাবে, কেন মৃত্যু, তা পরিবারের লোককে জানানো হল না। বছর ছত্রিশের বিশ্বজিৎ অধিকারীর বাড়ি আলিগ্রামে। ২০০৬ থেকে কাশ্মীরে ১১০ নং ব্যাটেলিয়ানে কর্মরত। বর্তমানে পোস্টিং ছিল শ্রীনগরে পুলওয়ামায়। সেখানেই মৃত্যু।

আরও পড়ুন-আইএনটিটিইউসি-র উদ্যোগে খুলল কারখানা

শনিবার সন্ধ্যায় সেনা কর্তৃপক্ষ ওঁর স্ত্রীকে ফোনে শুধু জানায়, মাথায় গুলি লেগে মৃত্যু। কীভাবে, তা জানায় না। সোমবার সকাল আটটায় ইউনিটের সুবেদার সুরেশ পাসোয়ান দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেন। গান স্যালুটও দেওয়া হয়। শোকবিহ্বল স্ত্রী নবনীতা অতি কষ্টে বলেন, ইউনিট থেকে তাঁকে জানানো হয় স্বামী আর নেই। কিন্তু কী কারণে বলা হয়নি। বাবা গৌরাঙ্গ দুরারোগ্য ব্যাধিতে শয্যাশায়ী। মা কৃষ্ণাদেবীও কথা বলার অবস্থায় নেই। বিশ্বজিৎই বড় ছেলে। বছর বারো আগে বিয়ে। ছেলে আকাশকে নিয়ে স্ত্রী পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় থাকতেন। ছেলে সেখানেই অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। বিশ্বজিতের মরদেহ কাটোয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। নানুর বিডিও সন্দীপ সিংহরায় শোকার্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। সেনা কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় বাড়ির লোক প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ।

Latest article