জনগর্জনে দিল্লি কাঁপিয়ে দেওয়ার ডাক উঠল পুরুলিয়ার প্রস্তুতিসভায়

শনিবার পুরুলিয়া রবীন্দ্রভবনে আয়োজিত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রস্তুতিসভায় সেই ঐক্যবদ্ধ শপথের ছবি দেখে গেলেন দলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার।

Must read

সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : বাংলাকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে গর্জন শুরু হয়ে গেল পুরুলিয়ায়। শনিবার পুরুলিয়া রবীন্দ্রভবনে আয়োজিত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রস্তুতিসভায় সেই ঐক্যবদ্ধ শপথের ছবি দেখে গেলেন দলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের ডাকা ভিড়ে ঠাসা রবীন্দ্রভবনের সভামঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘এটা প্রস্তুতিসভা। আসল গর্জন তো বিজেপি শুনবে ১০ মার্চ। সেদিন ব্রিগেডের সভা জানিয়ে দেবে বাংলায় ৪২-এ ৪২ পাবে তৃণমূলই।’

আরও পড়ুন-উত্তর থেকে দক্ষিণে পাঁচটি মেগা জনসভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

সভায় কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপিকে একহাত নেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শান্তিরাম মাহাত। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত জেলা পুরুলিয়ায় জমি একফসলি। তাই মুখ্যমন্ত্রী এখানে একশো দিনের কাজের প্রকল্প থেকে মাটির সৃষ্টি শুরু করেছিলেন। লক্ষ্য ছিল ঊষর জমিকে উর্বর করে কৃষকদের স্থায়ী আয়ের ব্যবস্থা করা। কিন্তু বিজেপি একশো দিনের কাজই বন্ধ করে দিল। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই জেলা। তাই এখানকার শ্রমিকরা এবার বিজেপিকে যোগ্য জবাব দিতে মুখিয়ে আছেন।’ দলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘বিজেপি ভেবেছিল রাজ্যকে ভাতে মারবে। মুখ্যমন্ত্রী ওদের দেখিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল থাকতে বাংলার মানুষের ক্ষতি কেউ করতে পারবে না। একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা শ্রমিকদের রাজ্যই দিয়েছে। এমনকি বছরে শ্রমিকদের ৫০ দিন কাজ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। মানুষ জানেন লোকসভা ভোটই হল এই ভাঁওতাবাজদের জবাব দেওয়ার প্লাটফর্ম। সেটা তাঁরা বুঝিয়ে দেবেন দশ তারিখ ব্রিগেডে। বাংলার জনগর্জন কাঁপিয়ে দেবে দিল্লিকে।’ জয়প্রকাশ নারায়ণ বলেন, ‘মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শে এককাট্টা। দলের নেতা-কর্মীদের তাঁদের পাশে থেকে কাজ করতে হবে। জনগর্জন সভায় যাঁরা যেতে চান সকলকে নিয়ে যেতে হবে। ঝড় তুলতে হবে আইটি সেলকে।’ জেলা জুড়ে প্রচার শুরু হয়েছে আগেই। ব্রিগেডে গর্জন তুলতে অন্তত ২ লক্ষ মানুষ সেদিন যাবেন পুরুলিয়া থেকে।

Latest article