প্রতিবেদন : বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। দেশের প্রায় প্রতিটি হাইকোর্টেই শূন্য রয়েছে একাধিক বিচারপতির পদ। বিচারপ্রার্থীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিচারপতি নিয়োগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রকের কাছে নাম সুপারিশ করলেও তা অকারণে ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে। কী কারণে কলেজিয়ামের সুপারিশ করা নামগুলিতে সম্মতি দিতে এত টালবাহানা, তা নিয়ে কেন্দ্র স্পষ্ট করে না বললেও সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের অযৌক্তিক আপত্তির বিষয়গুলি ফাঁস করে দিয়েছে৷ আর তাতেই শঙ্কায় পড়েছে কেন্দ্র৷ কারণ, কেন্দ্রের আপত্তির পিছনে যে প্রার্থীদের অতীতের সরকার বিরোধী মতামত রয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ কলেজিয়াম তার সুপারিশের ক্ষেত্রে অনেকসময় দেশের গোয়েন্দা সংস্থা র বা আইবির রিপোর্টও উল্লেখ করে থাকে।
আরও পড়ুন-জার্ভিসকে নিয়েই গোয়ায় ইস্টবেঙ্গল
বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত কলেজিয়ামের সুপারিশে এভাবে গোয়েন্দা রিপোর্ট যুক্ত করে দেওয়ায় অস্বস্তিতে কেন্দ্র৷ কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজেজু এ বিষয়ে আপত্তির কথা জানিয়ে বলেছেন, গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে কলেজিয়াম যেভাবে প্রকাশ্যে নিয়ে আসছে তা খুবই উদ্বেগের।
আরও পড়ুন-লিগে খারাপ ফল, এটিকে’কে কড়া চিঠি দিচ্ছে মোহনবাগান, এবার আত্মপ্রকাশ স্পোর্টস অ্যাকাডেমির
সম্প্রতি কলেজিয়ামের বেশ কয়েকটি সুপারিশের সঙ্গে যুক্ত ছিল গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিচারপতিদের সম্পর্কে আইবি বা র যে রিপোর্ট দিয়েছিল তা কার্যত খারিজ করে দিয়েছিল কলেজিয়াম। রিজিজু কলেজিয়ামের এই বিষয়টিকে গভীর উদ্বেগের বলে মন্তব্য করলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এভাবেই আইনমন্ত্রী ফের একবার কলেজিয়েমের উপর খবরদারি করার চেষ্টা করেছেন। কারণ এতদিন কলেজিয়েমের সুপারিশ করা নামগুলি ঝুলিয়ে রাখার ক্ষেত্রে আইনমন্ত্রক আইবি ও র-এর রিপোর্টকে কিছুটা হলেও ঢাল হিসেবে ব্যবহার করত। কিন্তু কেন্দ্রর এই চাল ভেস্তে দিতে বিভিন্ন বিচারপতিদের সম্পর্কে গোয়েন্দা রিপোর্ট সুপারিশের সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছে কলেজিয়াম। যার ফলে কেন্দ্র আর প্রকৃত সত্যকে আড়াল করতে পারছে না৷ এতেই ক্ষুব্ধ কেন্দ্র৷ আইনমন্ত্রীর সর্বশেষ মন্তব্যে বিচারবিভাগ সম্পর্কে সেই উষ্মার প্রতিফলন দেখছেন বিশেষজ্ঞরা৷