সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সামশেরগঞ্জের বোগদাদনগর পঞ্চায়েতের মহেশটোলা গ্রামে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয় গঙ্গায়। দুপুরের মধ্যেই সেই ভাঙনে প্রায় ৩০টি বাড়ি তলিয়ে যায় নদীগর্ভে। ভাঙন আরও বাড়বে বলে গ্রামবাসীদের আশঙ্কা। দু-আড়াই বছর ধরেই সামশেরগঞ্জ ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে চলে গঙ্গাভাঙন। মহেশটোলা, শিবপুর, প্রতাপগঞ্জ-সহ একাধিক ভয়াবহ ভাঙনের ফলে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার মুখে। তা সত্ত্বেও উদাসীন কেন্দ্র ভাঙন প্রতিরোধে কোনও আর্থিক সাহায্যই করেনি।
আরও পড়ুন-গোল নেই মেসির, ড্র ইন্টার মায়ামির
মাস দুয়েক আগে মালদা-মুর্শিদাবাদ সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী সামশেরগঞ্জের নদীভাঙন প্রতিরোধে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে গঙ্গায় জল খুব বেশি থাকায় ভাঙন প্রতিরোধে সেভাবে কাজ করা যাচ্ছে না। নতুন করে শুরু হওয়া ভাঙনে মহেশটোলার বাসিন্দারা দিশাহীন হয়ে পড়েন। কিছু বাসিন্দা স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে আশ্রয় নেন। স্থানীয় গোবিন্দ সরকার বলেন, ‘‘আমরা জানি রাজ্য সরকার ভাঙন প্রতিরোধে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। কিছুদিন আগে নদীতে যখন জল বাড়ছিল সেই সময় কিছু বালির বস্তা ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করার চেষ্টা হয়েছিল দেখেছি।
আরও পড়ুন-পাক ম্যাচে সেরা ফর্মে থাকতে হয়, বললেন বিরাট
কিন্তু বোল্ডার দিয়ে কাজ না করলে গঙ্গার ভাঙন ঠেকানো অসম্ভব।’’ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে ২ হাজারের বেশি বাসিন্দা গৃহহীন। গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে কয়েক হাজার বিঘা জমি। বোগদাদনগরের পঞ্চায়েত প্রধান নাজমিরা বিবি বলেন, ‘‘সকাল থেকে শুরু হওয়া ভাঙনে প্রায় ৩০টি বাড়ির পাশাপাশি ২-৩ বিঘা জমিও নদীতে তলিয়ে গিয়েছে। নদীভাঙনে মহেশটোলা-ধুলিয়ান রাজ্য সড়ক আগেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আজকের ভাঙনে রাস্তাটির আরও ক্ষতি হওয়ায় ওই পথ দিয়ে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।’’