প্রতিবেদন : কূটনৈতিক সংঘাতে নয়া মোড়! কানাডায় খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে ট্রুডোর দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ইতিমধ্যেই তলানিতে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত-কানাডা সংঘাতের পারদ আরও চড়ল। ভারত থেকে কানাডার প্রায় ৪০ জন কূটনীতিককে সেদেশে ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিল নয়াদিল্লি। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে নয়াদিল্লি থেকে নিজেদের কূটনীতিকদের সরাতে হবে বলে কানাডাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারত সরকারের এই নির্দেশে দু’দেশের সম্পর্ক আরও তিক্ত হতে চলেছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। পাশাপাশি দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ ঘিরেও বড় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন-আপাতত জেলেই থাকছেন চন্দ্রবাবু
গত জুনে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে খুন হন খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জর। হরদীপের খুনের নেপথ্যে ভারত সরকারের গুপ্তচর সংস্থার হাত রয়েছে বলে কানাডার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। যদিও ট্রুডোর এই অভিযোগকে সঙ্গে সঙ্গে খারিজ করে দেয় ভারত। সেইসঙ্গে কানাডার মাটিতে ভারত-বিরোধী জঙ্গি কার্যকলাপকে মদত দেওয়ার পাল্টা অভিযোগ তোলা হয়। খালিস্তান আন্দোলন ও সেই সূত্রে পারস্পরিক দোষারোপের আবহে দু’দেশের কূটনৈতিক চাপানউতোর ও দ্রুত সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়।
আরও পড়ুন-জাতিভিত্তিক জনগণনা, রাহুলের উল্টো সুর সিংভির
ভারতে বসবাসকারী বা ঘুরতে আসা কানাডার নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ সংক্রান্ত কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে ট্রুডো সরকার। তার পাল্টা কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয় পড়ুয়া এবং নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া স্থগিত রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। এই প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, কানাডায় ভারতের যে সংখ্যক কূটনীতিক রয়েছেন, সেই তুলনায় নয়াদিল্লিতে কানাডার কূটনীতিকদের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। তাই দু’দেশের মধ্যে সমতা রাখা উচিত। সেই কারণেই ভারত থেকে ৪০ জন কানাডীয় কূটনীতিককে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলে ব্যাখ্যা দেন তিনি। দুই দেশের সাম্প্রতিক তিক্ত সম্পর্কের মধ্যে নয়াদিল্লির এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ।