প্রতিবেদন : আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় সংঘটিত অপরাধের সংখ্যা কমাতে কেন্দ্রীয় সরকার পাচার সহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইন প্রয়োগ করতে চায়। তবে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিভিন্ন রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়ে এব্যাপারে তাদের মতামত চেয়েছে। এরাজ্যের মুখ্যসচিবকেও এই মর্মে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন-দুই বিজেপি নেতার কুকীর্তি সামনে, আরও বিপাকে সৌমেন্দু, ভাতা ৬ হাজার, তাতে কীভাবে বিদেশ সফর
আগামী ৫ নভেম্বর রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের পৌরোহিত্যে পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক বসছে। সেখানেও এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, দেশের সীমান্ত এলাকায় নারী, গবাদি পশু, ড্রাগ, জাল নোট পাচারচক্র ক্রমশ সক্রিয় হয়ে উঠছে। এই সব অপরাধীদের দমন করতে ইউএপিএর মতো কঠোর আইন ব্যবহার করতে চায় মোদি সরকার। কিন্তু অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয়। তাই এই সংক্রান্ত ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যের মতামত নেওয়া জরুরি। সেই কারণেই এই চিঠি।
আরও পড়ুন-অবৈধ মাদক দ্রব্য-সহ গ্রেফতার বিজেপি নেতা
পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপাল, ভুটানের আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। এরাজ্যের সরকারের মতামতের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বারবার এই আইনের অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষিত ভাবে ইউএপিএ আইনের বিরোধী। এই আইন প্রত্যাহারের পক্ষেও তিনি একাধিকবার সওয়াল করেছেন। সীমান্তে বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোর সিদ্ধান্তের ও বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সীমান্ত এলাকায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ প্রয়োগের ক্ষেত্রেও এই আইনের অপপ্রয়োগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারছে না প্রশাসনিক মহল।