প্রতিবেদন : ডেঙ্গির প্রকোপ কমছে। কিছুদিন আগে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়লেও ঠান্ডা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করেছে। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষকে সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় সরকার যে গাইডলাইন দিয়েছে তা মেনে চলতে হবে। ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে ভয়ের কিছু নেই। আমি অনুরোধ করব জ্বর হলে রক্ত পরীক্ষা করান। যদি পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়ে তার প্রোটােকল মেনে চিকিৎসা করান। গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আগামী ২১ নভেম্বর নবান্নে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালে রক্তের কোনও অভাব নেই। অভাব নেই প্লাজমারও। তাই আতঙ্কিত হবেন না।
আরও পড়ুন-ইস্টবেঙ্গলে চিলড্রেনস ডে, গোয়া ম্যাচের প্রস্তুতি মোহনবাগানে
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ডেঙ্গির মশা বারেবারে জিন পরিবর্তন করছে। এর ফলে আক্রান্ত হতে হচ্ছে। কিছুদিন আগে পুজোর মরশুম শেষ হয়েছে। পুজোর জন্য অনেক জায়গায় বাঁশ, কাঠ পড়ে থাকায় ডেঙ্গির মশা লার্ভা জন্মাচ্ছিল। এখন সেসব পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তবে মানুষ সচেতন না হলে এই রোগ প্রতিরোধ করা পুরোপুরি অসম্ভব। তাই মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, সচেতনতা বৃদ্ধি হোক। স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভাগুলি ডেঙ্গি মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে এর মধ্যেই রাজারহাটে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। একজনের নাম আমিনা খাতুন (৩৯)। অপরজন হালিমা বিবি (৬০)। দু’জনেরই মৃত্যু হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। শনিবার রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত ছিলেন ৯৪৫ জন। বৃহস্পতিবার ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ১৪ বছরের ভার্গবী মণ্ডলের।
আরও পড়ুন-বাড়ল সময়সীমা
কলকাতার ১০৫ নম্বর ওয়ার্ডে হালতুর বাসিন্দা ভার্গবীর মৃত্যু হয় এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। ডেঙ্গি রুখতে সচেতনতার প্রচার চলছে কলকাতা সহ জেলায় জেলায়। সেই সঙ্গে মশা মারতে স্প্রে করা হচ্ছে তেল। এছাড়াও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সচেতনতার প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষও জানিয়েছেন, ডেঙ্গির প্রকোপ কমে আসছে। কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যাও কমছে। ডেঙ্গির প্রকোপ কমেছে হাওড়া ও বিধাননগরেও।