প্রতিবেদন : নিউটাউনের বাজারে ৫০০ টাকার ‘ট্রাফিক ফাইন’ বন্ধ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দলের তরফে ট্যুইট করে এ-খবর জানান। আপত্তিকর এই বর্ধিত পার্কিং ফাইন সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী ওয়াকিবহাল ছিলেন না। মানুষের অভিযোগ কানে যাওয়া মাত্রই তা বাতিলের নির্দেশ দেন তিনি। বর্ধিত পার্কিং ফি ও ফাইন নিয়ে এর আগেও তিনি জানামাত্র তা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবারও তাই হল।
আরও পড়ুন-মাউন্ট উচিটেল জয়
বৃহস্পতিবার দলের তরফে একটি ট্যুইট করে লেখা হয়, নিউটাউনের ‘ট্রাফিক ফাইন’ ৫০০ টাকা— যেটি চালু হয়েছিল তা আপত্তিকর, বিভ্রান্তিকর ও জনবিরোধী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটি জানতেন না। মানুষের হয়রানির কথা জানতে পেরেই তাঁর নির্দেশ, এই ফাইনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও বাতিল করা হচ্ছে। এই ঘটনায় খুশি নিউটাউনের বাসিন্দারা। এতে তাঁদের প্রভূত সমস্যার সমাধান হল। বেশ কিছুদিন ধরেই এ-বিষয়ে অভিযোগ আসছিল বাসিন্দাদের কাছ থেকে। নিউটাউন বাজারে কোনও কাজে গাড়ি নিয়ে কয়েক মিনিট দাঁড়ালেও মোবাইল ফোনে গাড়ির নম্বর ধরে ৫০০ টাকার চালান মেসেজ করে পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু কোনও জায়গায় লেখা নেই যে গাড়ি ওই সংশ্লিষ্ট জায়গায় রাখা যাবে না। এমনকী ট্রাফিক পুলিশও এসে বলছেন না যে, গাড়ি ওই জায়গায় দাঁড় করানো যাবে না।
আরও পড়ুন-রাজ্যের স্বার্থবিরোধী কাজের কৈফিয়ত চাইলেন নয়াগ্রামবাসী, গদ্দার নেতাকে দেখে চোর চোর রব
এমনকী সামান্য সময়ের জন্য গাড়ি থামিয়ে কেউ ওঠা-নামা করলেও ৫০০ টাকার ফাইনের চালান সংশ্লিষ্ট গাড়ির মালিকের কাছে মোবাইলে পৌঁছে যাচ্ছিল। দিনের পর দিন এই অসহনীয়, অবৈজ্ঞানিক, অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি চলছিল। সম্প্রতি রাজারহাট নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের কাছে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। প্রশাসনের শীর্ষ মহলেও আসতে থাকে একের পর এক অভিযোগ। কারণ, নিউটাউনে প্রচুর মানুষ চারচাকা গাড়ি ব্যবহার করেন। এবং তাঁরা একাধিকবার বিভিন্ন কাজে বাজারে-দোকানে যান।
আরও পড়ুন-রাজ্যকে বঞ্চনার জবাব ভোটেই দেবেন মানুষ
বারবার এই ধরনের ট্রাফিক ফাইনের সম্মুখীন হতে হওয়ায় তাঁরা চরম তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন। যে কারণে সমস্যা সমাধানে একাধিকবার তাঁরা অভিযোগ জানান। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপেই এই সমস্যা মিটল। এর আগেও কলকাতা কর্পোরেশনের বর্ধিত পার্কিং ফি বাতিল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাতে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে বাড়তি চাপ না পড়ে।