রাজ্যের স্বার্থবিরোধী কাজের কৈফিয়ত চাইলেন নয়াগ্রামবাসী, গদ্দার নেতাকে দেখে চোর চোর রব

রাস্তায় তো বটেই, রাস্তার ধারের তিনতলা বাড়ির ছাদ থেকেও তাঁকে ধিক্কার জানিয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেল এলাকাবাসীকে।

Must read

সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম : ‘চোর, চোর’ আওয়াজ উঠল বিরোধী দলনেতাকে দেখতে পেয়েই। স্লোগান (slogan) উঠল ‘গো ব্যাক, গো ব্যাক’। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো হয়ে উঠল যে, পুলিশকে ব্যারিকেড করে কোনওরকমে ওই জায়গা থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হল তাঁকে। বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতার প্রতি সাধারণ মানুষের ব্যাপক ক্ষোভের সাক্ষী হয়ে রইল ঝাড়গ্রাম-গোপীবল্লভপুরের নয়াগ্রাম। সত্যি কথা বলতে কী, বিরোধী দলনেতার প্রতি মানুষের ক্ষোভের স্বতঃস্ফূর্ত বিস্ফোরণ ঘটল এদিন।

আরও পড়ুন-রাজ্যকে বঞ্চনার জবাব ভোটেই দেবেন মানুষ

রাস্তায় তো বটেই, রাস্তার ধারের তিনতলা বাড়ির ছাদ থেকেও তাঁকে ধিক্কার জানিয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেল এলাকাবাসীকে। শুধু তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরাই নন, গদ্দার-বিরোধী বিক্ষোভে শামিল হলেন সাধারণ গ্রামবাসীরাও। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে নয়াগ্রামে এদিন পদযাত্রা এবং সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। কিন্তু সাড়াই মিলল না সেভাবে। লোকসমাগম এতটাই কম হয়েছিল এদিন যে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় গেরুয়া নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন-গরম মোকাবিলায় রাজ্যে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি

হাতেগোনা কর্মী-সমর্থককে নিয়েই সাঁকরাইলের তুঙ্গাধুয়া থেকে তপসিয়া হয়ে নয়াগ্রামে যান ‘গদ্দার’। পদযাত্রা যত এগিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে ধিক্কারের মাত্রা ততই বেড়েছে। সংখ্যা কমেছে পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের। রাজ্যে ধারাবাহিক উন্নয়ন ব্যাহত করতে কেন অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছে গেরুয়া দল, তার জবাব চান এলাকার বাসিন্দারা। প্রশ্ন তোলেন, কোন লজ্জায় ভোট চাইতে এসেছেন বিরোধী দলনেতা? উত্তর দেওয়ার মতো অবশ্য কিছুই ছিল না বিজেপির।

Latest article