মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থাকেই আধুনিক এবং উন্নত করে তুলতে চান। তিনি বিশেষ জোর দিচ্ছেন জেলাগুলির ওপর। কারণ জেলার মানুষ হাতের কাছে ভালো হাসপাতাল না পেয়ে শহরে ভিড় করেন, হয়রানি হন। জেলায় হাসপাতাল হলে শহরের হাসপাতালের ওপর চাপও কমবে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ভাবনা ও অনুপ্রেরণাতেই পূর্ব মেদিনীপুরে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হতে চলেছে ‘তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ।’
আরও পড়ুন-কেরপুজোতে ত্রিপুরাবাসীকে শুভেচ্ছা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
৩০ জুলাই রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য দফতরের এক প্রতিনিধিদল পূর্ব মেদিনীপুরে পরিদর্শনে আসে সেই হাসপাতালের কাজ কতদূর এগোল দেখতে। এই মেডিকেল কলেজের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত আগ্রহী। তিনি নিজেই এর নামকরণ করেছেন। এমনকি তমলুক জেলা হাসপাতাল চত্বরে নতুন বাড়ি তৈরির জন্য মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে টাকাও বরাদ্দ করেছেন। ২০১৯-এ শুরু হয়েছে তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজের নতুন বিল্ডিং নির্মাণের কাজ। আগামী নভেম্বরের মধ্যেই কলেজ ভবনের কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্য নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ৩০ জুলাই সেই নতুন ভবন পরিদর্শন করে রাজ্যের প্রতিনিধি দল। সেই দলটি নিমতৌড়িতে জেলাশাসকের দফতরে গিয়ে বৈঠকও করে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ চালু করতে চায় রাজ্য। সেই জন্য ইতিমধ্যে অধ্যক্ষ, মেডিকেল সুপার কাম ভাইস প্রিন্সিপাল-সহ ২৪৪টি পদ তৈরি করা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা দপ্তরের প্রতিনিধিদলকে জেলা প্রশাসন বিকল্প হিসেবে তমলুকের সালগেছিয়ায় পুরনো জেলাশাসকের অফিসে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন মেডিকেল কলেজের পড়াশোনা চালু করার প্রস্তাব দেন।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নাম রাখা ‘উৎসশ্রী’ পোর্টালের উদ্বোধন শিক্ষামন্ত্রীর, আবেদন দোসরা অগাস্ট থেকে
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাসে জেলা কালেক্টর তমলুক শহর থেকে নিমতৌড়িতে সরানো হয়েছে। ফলে তমলুকের সালগেছিয়ায় পুরনো জেলাশাসকের দপ্তর এখন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। ৩০ জুলাই সেই পুরনো জেলাশাসকের বিল্ডিং পরিদর্শন করে রাজ্য থেকে আসা প্রতিনিধি দল। রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, ‘২০২২ সাল থেকে ১০০ আসন নিয়ে এই মেডিকেল কলেজ চালু হবে। তারই প্রস্তুতি দেখতে আমরা এসেছি। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আমরা খুশি।’ প্রতিনিধিদলের পরিদর্শনের সময় ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলাবাসীর মেডিকেল কলেজের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। আর মাত্র কয়েক মাসের অপেক্ষা।’