প্রতিবেদন : প্রায় নিঃশব্দে শেষ হওয়ার মুখে এক বিরাট কর্মযজ্ঞ। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের সেই যৌথ কর্মকাণ্ডে এ বছর বর্ষায় কলকাতা ও সন্নিহিত এলাকায় জল জমার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন অসংখ্য মানুষ। জল জমার সমস্যা নিরসনে রাজ্যের সেচ দফতর এই এলাকার ১৪টি নিকাশি খাল পলিমুক্ত করার কাজ করছে। সেচ, পুর-নগরোন্নয়ন দফতর কলকাতা পুরসভার সহায়তায় কলকাতাকে জমা জলের সমস্যা থেকে মুক্ত করতে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে। তারই অঙ্গ হিসেবে নিকাশি খালগুলির সংস্কারের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের বঞ্চনায় সরব হলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা
ইতিমধ্যেই ওই কাজের ৮০ শতাংশ সম্পন্ন বলে সেচ দফতর সূত্রে জানা গেছে। কাজ শেষ হলে আসন্ন বর্ষার মরশুমে কলকাতা ও বিধাননগর পুর এলাকা ছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ শহরতলির বিস্তীর্ণ এলাকা জমা জলের সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ বাগজোলা খাল ৩১ মার্চের মধ্যে পলিমুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। এর ফলে কলকাতার কাশীপুর বেলগাছিয়া অঞ্চল এবং সন্নিহিত কামারহাটি, বরানগর, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম এবং বিধাননগরের একাংশের মানুষ উপকৃত হবেন। প্রায় ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ কেষ্টপুর খালের সংস্কার এবং পলিমুক্ত করার কাজেরও ৭৫ শতাংশের বেশি ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন-পথক্লান্ত পথিক ও প্রবীণদের জন্য সাজল ২১ ধাপি
এর ফলে কলকাতার শ্যামপুকুর, চিৎপুর, টালা, দমদম ও বিধাননগরের একাংশ ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় দু নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা এবার বর্ষায় জলজমার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। ভাঙড় কাটাখাল এবং পর্ণশ্রী ও মণিখাল সংস্কারের কাজ প্রায় শেষ হওয়ায় আগামী বর্ষার মরশুমে বেহালা ও মহেশতলা থেকে নিউ টাউন পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকার জলজমার সমস্যার সমাধান হবে।