প্রতিবেদন : গত শুক্রবার হিমাচলপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতেই ওই রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্বের ছবি সামনে এল। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর (Jairam Thakur) ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রেমকুমার ধুমল (Prem Kumar Dhumal) এই দুই শিবিরের মধ্যে টিকিট বণ্টন নিয়ে কার্যত ধুন্ধুমার শুরু হয়েছে। প্রাক্তন ও বর্তমান দুই মুখ্যমন্ত্রীই চেষ্টা করছেন বেশি করে তাঁর ঘনিষ্ঠদের টিকিট দিতে।
এই দুই নেতার (Jairam Thakur- Prem Kumar Dhumal) লড়াইয়ে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, এ রাজ্যে ক্ষমতা আদৌ ধরে রাখা যাবে কিনা, তা নিয়ে উদ্বেগে পড়েছে গেরুয়া শিবির। টিকিট বণ্টনের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে সোমবার দিল্লির হরিয়ানা ভবনে হিমাচল বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক হয়। প্রায় ৮ ঘণ্টা বৈঠকের পরেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। তাই রাতে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাসভবনে ফের কোর কমিটির বৈঠক হয়। তবে তাতেও টিকিট বণ্টন সংক্রান্ত সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি বলেই বলে সূত্রের খবর। সমস্যা না মেটার কারণেই বিজেপি হিমাচল প্রদেশ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারছে না।
আরও পড়ুন-কংগ্রেস সভাপতি : গান্ধী পরিবারের ‘রাবারস্ট্যাম্প’ খাড়্গে জয়ী
বিজেপি সভাপতি নাড্ডার নিজের রাজ্য হিমাচলে দলের এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব চরম উদ্বেগ ফেলেছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। পরিস্থিতির জটিলতার কারণে বিজেপি এই রাজ্যে দুই দফায় প্রার্থী ঘোষণা করতে পারে বলে খবর। উল্লেখ্য, হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় আসন সংখ্যা ৬৮। নির্বাচন ঘোষণার আগেই বিজেপি এই রাজ্যে সমীক্ষা চালিয়েছিল। তাতে তারা দেখেছে, বর্তমান বিধায়কদের বেশিরভাগের উপর প্রবল ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। মানুষের অভিযোগ, নির্বাচনে জেতার পর আর বিধায়কদের দেখতেই পাওয়া যায়নি। তাই এবার বর্তমান বিধায়ক, মন্ত্রীদের অনেকেই নিশ্চিতভাবেই বাদ পড়তে চলেছেন। নির্বাচনে বাদ পড়া এই নেতা-মন্ত্রীরা কী ভূমিকা নেবেন তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের৷