প্রতিবেদন: শনিবার ইরানে দুই তরুণকে (Mohammad Mehdi Karami- Seyed Mohammad Hosseini) প্রকাশ্যেই ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে যাঁদের মধ্যে ২১ বছরের মেহেদি কারামি ছিলেন ক্যারাটে চ্যাম্পিয়ন। অপর জন সৈয়দ মহম্মদ হোসেনি ছিলেন শিশুদের প্রশিক্ষক (Mohammad Mehdi Karami- Seyed Mohammad Hosseini)। এই ফাঁসির খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। রাষ্ট্রসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের কড়া নিন্দা করেছে। এই দুই আন্তর্জাতিক সংগঠন তেহরানকে অবিলম্বে এধরনের শাস্তিদান বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে। ইরানের নিন্দায় সরব হয়েছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টার্যাশনাল। রাষ্ট্রসংঘ এই ধরনের শাস্তিদানকে চরম অমানবিকতা বলে উল্লেখ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানকে এভাবে মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া বন্ধ রাখতে বলেছে। কানাডা, নরওয়ে, ব্রিটেন, ফ্রান্স-সহ বিভিন্ন দেশের তরফে ইরানকে অবিলম্বে এধরনের শাস্তিদান থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। হলিউডের একাধিক জনপ্রিয় তারকাও ইরানের এই আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন।
ইরান প্রশাসন যতই কঠোর হচ্ছে দেশে বিদেশে ততই সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ বাড়ছে। বিশ্বজুড়ে একাধিক মানবাধিকার সংগঠন ইরানের এই নৃশংসতা বন্ধের আর্জি জানিয়েছে। কারামির আইনজীবী জানিয়েছেন, তার মক্কেলকে নিজের বক্তব্য জানানোর সুযোগটুকুও দেওয়া হয়নি।
ইরান প্রশাসনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না সংবাদমাধ্যমও। সরকার-বিধোধী খবর প্রচার করায় সেদেশের এক সংবাদপত্রের এডিটর মেহদি বায়েককেও গ্রেফতার করে পুলিশ। সংবাদমাধ্যমের উপর আক্রমণ নেমে আসার ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছে সকলেই।