প্রতিবেদন : বন্দর এবং দক্ষিণ কলকাতার একটা বড় অংশের নিকাশি সমস্যা সমাধানের জন্য খিদিরপুরে তৈরি করা হচ্ছে শহরের গভীরতম কুয়ো। খিদিরপুরের নবাব আলি পার্কে নির্মীয়মাণ এই কুয়োর গভীরতা হবে প্রায় সাড়ে ৪ তলা বাড়ির উচ্চতার সমান। পুরসভার একটি নতুন পাম্পিং স্টেশনের অঙ্গ হিসেবেই খনন করা হয়েছে এই কুয়ো। কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
আরও পড়ুন-জনস্রোতেই স্পষ্ট নন্দীগ্রাম তৃণমূলেরই
খিদিরপুর সহ বন্দর এলাকা এবং ভবানীপুরের একটা বড় অংশের জমা জল এসে পড়বে এই কুয়োয়। তারপরে পাম্পিং স্টেশনের মাধ্যমে তা সোজা গিয়ে মিশবে গঙ্গায়। আগে খিদিরপুরের জমা জল গঙ্গায় মিশত মোমিনপুর হয়ে। এবারে বদলে যাচ্ছে শেই পথ। কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ তারক সিং জানিয়েছেন, গোটা প্রকল্পটির জন্য খরচ পড়ছে প্রায় ৮০ কোটি টাকা। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আসছে জার্মানি থেকে। কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।
আরও পড়ুন-মাটি খুঁড়ে ৭ বছর নিখোঁজের দেহাংশের সন্ধান
এপ্রিলের মধ্যেই কাজ শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছেন মেয়র পারিষদ নিজে। তাঁর দেওয়া তথ্য বলছে, এই নিয়ে কলকাতা মহানগরীতে নিকাশি পাম্পিং স্টেশনের সংখ্যা দাঁড়াবে ৭৭। প্রতিটি স্টেশনেই রয়েছে সাম্প বা কুয়ো। তবে খিদিরপুরের সাম্পের গভীরতা তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি। লক্ষণীয়, বর্ষায় জল জমার সমস্যা থেকে মহানগরীর মানুষকে মুক্তি দিতে বদ্ধপরিকর পুরসভা। সেই কারণেই এবারে হাতে অনেকটাই বেশি সময় নিয়ে নেমে পড়েছে কর্তৃপক্ষ। গতবছর বর্ষাবিদায়ের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে গিয়েছে পরের বর্ষার জন্য পরিকল্পনা এবং তা রূপায়ণের তৎপরতা। সমস্ত বিষয়টাকেই একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বর্ষায় গলি থেকে রাজপথ—কোথাও যাতে না জল জমে থাকে সেটাই লক্ষ্য পুরসভার।