প্রতিবেদন : ১০০ দিনের কাজে মহিলাদের গুরুত্ব ও অংশগ্রহণ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই নির্দেশকে সামনে রেখে ওই প্রকল্পে সুপারভাইজার পদে ৫০ শতাংশ মহিলার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করে তার কপি সমস্ত জেলায় জেলাশাসকদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন-রাজনৈতিক স্বার্থেই আটকে রাখা হয়েছে পুরভোট, রাজ্যপালকে দুষছেন হাওড়াবাসী
সেখানে বলা হয়েছে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যারা সুপারভাইজার হিসেবে প্রশিক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন। প্রত্যেক জেলাকে মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে পঞ্চায়েতভিত্তিক সুপারভাইজারের ডেটাবেস তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, সাধারণত ১০০ দিনের কাজে সুপারভাইজার পদে পুরুষদের সংখ্যাই বেশি। কিছু জেলায় মহিলাদের অংশগ্রহণ থাকলেও সেটা সামান্য। কিন্তু, এবার থেকে ৫০ শতাংশ সুপারভাইজার পদ মহিলাদের জন্য নিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুন-অন্য রোগেরও চিকিৎসা বাঙ্গুরে
তার আগে জেলাস্তরের প্রশিক্ষকদের নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর প্রতিটি জেলা থেকে কর্মীদের নিয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মাস্টার ট্রেনার্স তৈরি করেছে। তাঁরা জেলায় জেলায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যাদের সুপারভাইজার হওয়ার প্রশিক্ষণ দেবেন। রাজ্য থেকে ধারাবাহিকভাবে ওই কাজে নজরদারি চালানো হবে।
আরও পড়ুন-ছোট-মাঝারি শিল্পে গুরুত্ব সিনার্জিতে
প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে মহিলা সুপারভাইজারের ডেটাবেস তৈরি করতে হবে। কয়েক হাজার মহিলা প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। এর ফলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যাদের একটা বড় অংশের ভাল আয়ের সংস্থান হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কোনও জায়গায় ১০০ দিনের কাজে ৫০ জন পর্যন্ত শ্রমিক কাজ করলে একজন সুপারভাইজার অর্ধ দক্ষ শ্রমিকের মজুরি বাবদ দৈনিক ৩১৯ টাকা ৫০ পয়সা পান। শ্রমিক তার চেয়ে বেশি হলে ওই হারে পারিশ্রমিক বাড়ে। প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতে সংসদপিছু এক থেকে দু’জন করে একশো দিনের কাজের সুপারভাইজার আছেন।