সুমন করাতি হুগলি: আকাশ-ছোঁয়া প্রতিমা ও চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমাবেন হুগলির গঙ্গাপারের শহর চন্দননগরে। বঙ্গোপসাগরে ধেয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়কে উপেক্ষা করে শেষমুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে মণ্ডপে মণ্ডপে শুরু হয়ে গিয়েছে উদ্বোধন। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং উদ্বোধন করেছেন জগদ্ধাত্রী পুজোর। দুশ্চিন্তার কালো মেঘ সরিয়ে চন্দননগর-সহ গোটা রাজ্যের মানুষ মাততে চলেছে হৈমন্তিকার আরাধনায়।
আরও পড়ুন-কমলালেবুর খোসা থেকে আতর, জীবাণুনাশক তেল
ইতিমধ্যে বিভিন্ন বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলির মণ্ডপ তৈরির কাজ শেষের মুখে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ বাধ সাধলেও সময়ের মধ্যে মণ্ডপ শেষ করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। চন্দননগরের আদি হালদার পাড়ার এ বছরের থিম ‘মাটির ঘরে মা’। মায়ের সঙ্গে যে মাটির সম্পর্ক সেটাকেই মণ্ডপসজ্জায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শুধু দেবী-মাকে মণ্ডপসজ্জায় তুলে আনা হয়নি, গর্ভধারিণী মায়েদের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে মণ্ডপে। রয়েছে সতীর ১০৮টি রূপের বর্ণনা। ব্যবহার করা হয়েছে মাটির হাঁড়ি, পটচিত্র, মাটির মডেল, কলসি, কুলো ইত্যাদি। প্লাস্টিক বর্জন করে উদ্যোক্তারা পরিবেশবান্ধব মণ্ডপ উপহার দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-মাঠে ধান কাটার আগে মুঠিসংক্রান্তিতে পা ধুয়ে কৃষক-বরণ
পুজো কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এখনও পর্যন্ত মণ্ডপের বাইরের কিছুটা কাজ বাকি রয়েছে। প্রতিমারও সাজসজ্জা বাকি। মণ্ডপ শিল্পীরা চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব মণ্ডপের কাজ শেষ করতে। চন্দননগরবাসী-সহ গোটা রাজ্যের মানুষ অধীর আগ্রহে দিন গুনছে। অনেকে মণ্ডপ দেখতে আসছেন, কিন্তু এখনও মণ্ডপ বা প্রতিমার কাজ সম্পূর্ণ হয়নি।
আরও পড়ুন-হোটেলেই বিরাট, স্লিপ-ক্যাচিং সেরে গেলেন রোহিত, আমেদাবাদে কাল বিশ্বকাপ ফাইনাল
ঐতিহ্যের সঙ্গে থিমের মেলবন্ধন দেখা যাবে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয়। মহাডাঙা মেইন রোড বালক সংঘ ৪৪তম বর্ষে থিম-ভাবনায় তুলে ধরেছে ‘লালসার জালে গুপ্তধনের সন্ধানে’। বোড় কালীতলা সার্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির থিম ‘ধামসা তালে মাতবে নগর, সাজছে তাই রানির বাড়ি, ২৩ রাতেও সাজবে রানি, চড়বে যখন আলোর গাড়ি’। গঞ্জ শীতলাতলা ৪৯তম বছরে থিম করেছে ‘৫০ অপেক্ষায়’। গোন্দলপাড়া কাছারিঘাট জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির ভাবনা ‘অদিবাসীদের জয়যাত্রা’। ১৫ পল্লি জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির পুজোয় ফুটে উঠবে ‘বিশ্বরূপ উমা’। কলুপুকুর সার্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির থিম ‘কুরুক্ষেত্রের রথ’। কপালীপাড়া সাহেববাগান সর্বজনীন কমিটির ৫৮তম বর্ষের ভাবনা ‘আলোকবর্তিকা’।