হোটেলেই বিরাট, স্লিপ-ক্যাচিং সেরে গেলেন রোহিত, আমেদাবাদে কাল বিশ্বকাপ ফাইনাল

একে তো টানা ম্যাচ খেলার ক্লান্তি। তার উপর অপশনাল প্র্যাকটিস। তারকা ক্রিকেটাররা সাধারণত এড়িয়ে যান। কিন্তু তিনি রোহিত শর্মা।

Must read

আমেবাবাদ, ১৭ নভেম্বর : একে তো টানা ম্যাচ খেলার ক্লান্তি। তার উপর অপশনাল প্র্যাকটিস। তারকা ক্রিকেটাররা সাধারণত এড়িয়ে যান। কিন্তু তিনি রোহিত শর্মা। কাপ-স্বপ্নে বুঁদ ভারত অধিনায়ক জনা পাঁচেক সতীর্থকে নিয়ে শুক্রবারই হাজির হয়ে গেলেন মোতেরায়। সঙ্গে ছিলেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়-সহ বাকি কোচিং স্টাফরা। টানা ১০ ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছে দল। আর একটা জয় পেলেই দীর্ঘ একযুগ পর বিশ্বসেরা হওয়ার হাতছানি। তাই প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখতে রাজি নন রোহিত।

আরও পড়ুন-ইডির হানা, ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার

সেমিফাইনালের আগে পিচ-বিতর্ক তাড়া করেছিল ভারতীয় শিবিরকে। এদিনও মাঠে ঢুকেই মোতেরার ২২ গজে সটান চলে যান রোহিত। বেশ কিছুক্ষণ ধরে পিচ নিরীক্ষণ করার পর, মাঠকর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেন। তারপর আলাদা করে আলোচনা করেন কোচ দ্রাবিড়ের সঙ্গে। বিষয়বস্তু যে ২২ গজ, সেটা আন্দাজ করার জন্য রকেট সায়েন্স বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। দু’জনেরই শরীরী ভাষা বলে দিচ্ছিল, উইকেট দেখে তাঁরা সন্তুষ্ট।

আরও পড়ুন-জগৎকে ধারণ করেন যিনি

এরপর হালকা ওয়ার্মআপ করে ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপের তত্ত্বাবধানে অনেকটা সময় ধরে স্লিপে দাঁড়িয়ে ক্যাচ প্র্যাকটিস করতে দেখা গেল রোহিতকে। মাঠ ছাড়ার আগে আরও একবার পিচ দেখে যান ভারত অধিনায়ক। বিরাট কোহলি, মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরারা এদিন আর মাঠমুখো হয়নি। বাকিদের মধ্যে অপশনাল প্র্যাকটিসে হাজির ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা, কে এল রাহুল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ঈশান কিশান ও প্রসিধ কৃষ্ণ। নেটে অশ্বিন-প্রসিধদের বলে অনেকটা সময় ব্যাট করলেন জাদেজা-রাহুলরা।

আরও পড়ুন-পুলিশ, পুরসভা ও বনকর্মীদের নিয়ে ছটপুজোর প্রশাসনিক বৈঠক

এদিকে, ফাইনালে ভারতকে ফেভারিট মানলেও, পাল্টা লড়াইয়ের বার্তা দিচ্ছেন জস হ্যাজলউড। অস্ট্রেলীয় পেসার বলছেন, ভারতীয় দলের প্রত্যেক ক্রিকেটার দারুণ ফর্মে। ওদের বিশ্বমানের পেসার এবং স্পিনাররা রয়েছে। ব্যাটারাও অসাধারণ ফর্মে। ক্রিকেটের প্রতিটি বিভাগেই ভারতীয়রা দুর্দান্ত। তবে আমরাও টানা আট ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছি।
হ্যাজলউড আরও যোগ করেছেন, বিশ্বকাপের আগে ভারতের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ ১-২ ফলে হারলেও, আমরা কিন্তু ওদের কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলেছিলাম। এমনকী, চেন্নাইয়ে বিশ্বকাপের ম্যাচে ওদের ছোটখাটো কিছু ভুল চোখে পড়েছে। খুব অল্প রান তাড়া করতে নেমেও সেদিন আমাদের বোলাররা ওদের সমস্যায় ফেলেছিল। তবে স্বীকার করছি, এই ভারতীয় দলের বড় ধরনের কোনও দুর্বলতা নেই। অন্তত আমার চোখে পড়েনি।

আরও পড়ুন-ছট মহাপর্ব

লিগ পর্বে মোতেরায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই অভিজ্ঞতা ফাইনালেও কাজে লাগবে বলে মনে করছেন হ্যাজলউড। তিনি বলছেন, একটা দেশ এতগুলো মাঠ, সত্যিই দারুণ অভিজ্ঞতা। ভারতের প্রতিটি মাঠের পিচ ও পরিবেশ আলাদা আলাদা। বোলার ও ব্যাটারদের তাই সব ধরনের পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। আমেদাবাদে আমরা বিশ্বকাপের একটি ম্যাচ খেলেছি। সেটা ছিল পাটা উইকেট। আমার ধারণা, ফাইনালেও একই ধরনের পিচ পাব।

Latest article