ছট মহাপর্ব

কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে উদযাপিত হয় ছটপুজো বা ছঠপুজো। এই পুজো সূর্যদেব ও তাঁর স্ত্রী উষার প্রতি সমর্পিত হয়। উদ্দেশ্য সূর্যদেবের কাছ থেকে পৃথিবীতে জীবনের স্রোত বহাল রাখার জন্য ধন্যবাদজ্ঞাপন এবং আশীর্বাদ প্রদানের কামনা করা। ছটপুজোর ইতিবৃত্তে কাকলি পাল বিশ্বাস

Must read

ছটপুজোর ইতিকথা
ছটপুজোর আরাধ্য দেবতা হচ্ছেন সূর্যদেব। অন্যান্য পুজোর ক্ষেত্রে দেবতাকে কল্পনা করে পুজো করতে হয়। কিন্তু ছটপুজোয় কল্পনার প্রয়োজন পড়ে না। কারণ সূর্যকে সবাই চোখের সামনেই দেখতে পান। তিনি হচ্ছেন স্বয়ংপ্রকাশ।
ছটপুজো ভারতবর্ষের উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের কিছু কিছু অংশে জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা হয়। তবে এই পুজোর ব্যাপকতা বিহারিদের মধ্যেই সব থেকে বেশি লক্ষ্য করা যায়। আর সেই কারণে এই ছটপুজোকে বিহারিদের উৎসব বলেই গণ্য করা হয়।

আরও পড়ুন-পুলিশ, পুরসভা ও বনকর্মীদের নিয়ে ছটপুজোর প্রশাসনিক বৈঠক

শুধুমাত্র বিহারিরাই ছটপুজো করেন
হিন্দু পুরাণ অনুসারে কৃষ্ণের পুত্র ছিলেন শাম্ব। তিনি একটি কুষ্ঠ নামক একটি চর্মরোগে ভুগছিলেন। এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় ছিল সূর্যদেবের উপাসনা। আর সেই কারণে শাম্ব এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সূর্যদেবের উপাসনা শুরু করেন। সূর্যদেবের উপাসনার জন্য একটি মন্দির নির্মাণ করেছিলেন শাম্ব। আর সেই মন্দিরের পুরোহিত হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন মগ ব্রাহ্মণদের। এই মগ ব্রাহ্মণেরা মগধের অর্থাৎ বর্তমানে যেটা বিহারে অবস্থিত সেখানকার অধিবাসী ছিলেন। ইতিহাস অনুযায়ী বিহারিরা তাঁদের পূর্বপুরুষের উত্তরাধিকারী হিসাবে আজও সূর্য দেবতার উপাসনা করে চলেছেন। আর এই কারণেই বিহারিদের মধ্যে ছটপুজোর প্রচলন হয়। ছটপুজো হচ্ছে সূর্যদেব ও তাঁর স্ত্রী উষার উপাসনা-করা বা ব্রত পালন করা। বিহারিরা বিশ্বাস করেন ছটপুজো করলে তাঁদের সমস্ত ইচ্ছা পূর্ণ হবে।

আরও পড়ুন-জগৎকে ধারণ করেন যিনি

ছটপুজোয় জড়িয়ে শ্রীরাম নাম
শ্রীরামচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেছিলেন সূর্যবংশে। তাঁদের আরাধ্য দেবতা অর্থাৎ কুলদেবতা ছিলেন সূর্যদেব। শ্রীরামচন্দ্র যখন লঙ্কা থেকে সীতাকে উদ্ধার করে নিয়ে অযোধ্যায় ফিরে আসেন তখন অযোধ্যায় তাঁর রাজ্য অভিষেক করা হয়েছিল। রাজ্য অভিষেকের পর রামচন্দ্র ও তাঁর স্ত্রী সীতা একত্রে মিলে প্রজাদের কল্যাণ কামনায় কার্তিক মাসের শুক্ল ষষ্ঠীতে সূর্যের উপাসনা করেছিলেন।
শুধু রামায়ণ নয়, মহাভারতের কাহিনি থেকেও ছটপুজোর বর্ণনা পাওয়া যায়। পুরাণ অনুযায়ী দ্রৌপদী কৌরবদের হাত থেকে হস্তিনাপুরের রাজ্যপাট ফিরে পাওয়ার জন্য এবং ধর্মঋষির উপদেশমতে অক্ষয়পাত্র লাভ করার জন্য সূর্যদেবের উপাসনা করেছিলেন এবং সেই অক্ষয়পাত্র লাভ করেছিলেন। এ ছাড়াও সূর্যপুত্র ছিলেন কর্ণ। তিনি প্রতিদিন সকালবেলায় স্নান সেরে রাজ্যের কল্যাণের জন্য কোমর পর্যন্ত জলে নেমে সূর্যেদেবের প্রতি অর্ঘ্য নিবেদন করতেন। তাই আজও ছটপুজোয় মানুষকে কোমর পর্যন্ত জলে নেমে সূর্যবন্দনা করতে দেখা যায়। অন্য মতে, রাজা পাণ্ডু ঋষিহত্যার পাপের প্রায়শ্চিত্তের কারণে কুন্তীর সঙ্গে বনে থাকার সময় পুত্রপ্রাপ্তির জন্য সরস্বতী নদীর পারে সূর্যের উপাসনা এবং ব্রত করেছিলেন।

আরও পড়ুন-ইডির হানা, ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার

ছটপুজো প্রচলনের পৌরাণিক কাহিনি
ছট শব্দটি এসেছে ‘ষষ্ঠ’ থেকে। এছাড়াও বিহারি, ভোজপুরি এবং মৈথিলি ভাষায় ষষ্ঠকে উচ্চারণ করা হয় ‘ছঠি’। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে মা অন্নপূর্ণার ছটপুজো করার কথা জানতে পারা যায়।
পুরাণ অনুযায়ী একবার আষাঢ় মাসে বর্ষার আগমনহেতু চাষিরা তাঁদের নিজের নিজের খেতে শস্য বুনেছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাচ্ছিল। আর তার ফলে সূর্যের প্রবল দাবদাহে মাঠঘাট সম্পূর্ণ শুকিয়ে গিয়ে শস্য পুড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এমত অবস্থায় চাষিদের ঘরে ঘরে দেখা যায় অন্নের অভাব। এই অবস্থায় মা অন্নপূর্ণা সূর্যদেবের শরণাপন্ন হন এবং তাঁর তপস্যা শুরু করেন। কিন্তু সূর্যের তপস্যা করেও কোনও ফল মেলে না। উপরন্তু সূর্যের প্রবল তেজে মা অন্নপূর্ণার জীর্ণদশা হয়ে যায়। মা অন্নপূর্ণার এ-অবস্থা দেখে অন্য দেবতারা সবাই মিলে সূর্যদেবের শরণাপন্ন হন। তখন সূর্যদেব মা অন্নপূর্ণাকে কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠীতে গঙ্গাতীরে গিয়ে সূর্য উপাসনা করার কথা বলেন। চাষিদের কল্যাণসাধনায় এরপর মা অন্নপূর্ণা গঙ্গাতীরে গিয়ে ভক্তিভরে সূর্যের উপাসনা করেন। মা অন্নপূর্ণার উপাসনায় সন্তুষ্ট হন সূর্যদেব। ফলস্বরূপ পৃথিবী পুনরায় শস্যশ্যামলা হয়ে ওঠে। আর এই ভাবেই চাষিদের দুঃখ দূর করেন মা অন্নপূর্ণা। মনে করা হয় সেই থেকেই পরিবারের মহিলারা এই পুজোতে অংশগ্রহণ করে থাকেন।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

ছটিমাতাকে ষষ্ঠীমাতাও বলা হয়। ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ ও কিংবদন্তি অনুসারে ছটপুজো প্রচলনের হওয়ার আরও একটি কাহিনি শোনা যায়। প্রথম মনু স্বয়ম্ভুর পুত্র একদা প্রিয়ংবদের কোনও সন্তান ছিল না। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী মালিনী সন্তান লাভের জন্য আকুল হয়ে উঠেছিলেন। প্রিয়ংবদর পিতা ছিলেন কাশ্যপমুনি। তিনি প্রিয়ংবদকে পুত্রেষ্ঠি যজ্ঞ করার পরামর্শ দেন। যথাসময়ে মালিনী পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই পুত্র মৃত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে। এই খবরে প্রিয়ংবদ প্রচণ্ড ভেঙে পড়েন এবং তিনি পুত্রের শোকে কাতর হয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

এরপর আকাশ থেকে মাটিতে একটি রথ অবতরণ করে যে-রথে মা ষষ্ঠী বসেছিলেন। রাজা প্রিয়ংবদ তাঁর কাছে প্রার্থনা করলে তিনি নিজের পরিচয় দিয়ে বললেন, আমি ব্রহ্মার মানসকন্যা দেবসেনা অর্থাৎ ষষ্ঠীদেবী। আমি পৃথিবীর সকল শিশুকে রক্ষা করি এবং নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তান লাভের বর দিই। এরপরে দেবী সেই মৃত শিশুর দিকে হাত বাড়িয়ে দেন এবং শিশুটিকে স্পর্শ করেন। মৃত শিশুকে স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে সেই শিশু জীবিত হয়ে ওঠে। এরপরে দেবীর নির্দেশ অনুযায়ী রাজা প্রিয়ংবদ ষষ্ঠী বা ছট বা ছটি মাইয়ার পুজো শুরু করেন।
অন্য একটি আখ্যান অনুযায়ী সূর্যদেব এবং ছটদেবী হলেন ভাই-বোন। আর সেই কারণে এই পুজোয় ছটদেবীর সঙ্গে সূর্যদেবের আরাধনা ফলদায়ী মনে করা হয়। তবে সব থেকে প্রচলিত গাথা অনুযায়ী সূর্যদেব ও তাঁর পত্নী উষা যিনি ছটিমাই নামে পরিচিত, তাঁর প্রতি সমর্পণের ভাবনা থেকেই এই ছটপুজোর প্রচলন শুরু হয়েছে। সূর্যদেব ও ছটিমাইকে ছটপুজোর মাধ্যমে সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি, ধন্যবাদজ্ঞাপন ও আশীর্বাদ প্রদানের জন্য কামনা করা হয়। ছটে মূর্তিপুজোর নিয়ম নেই। সূর্যই পুজোর প্রধান আরাধ্য দেবতা। বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে সূর্যকে আত্মা, পিতা, পূর্বপুরুষ, সম্মান এবং উচ্চ সরকারি চাকরির কারক বলা হয়েছে। ছটপুজোয় সূর্য দেবতা ও ছটি মাতা অর্থাৎ ষষ্ঠীদেবীর পুজো করলে সন্তান, সুখ ও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায়। সাংস্কৃতিকভাবে ছট উৎসবের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এর সরলতা, পবিত্রতা এবং প্রকৃতির প্রতি ভালবাসা।

আরও পড়ুন-মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার পথে ইটবৃষ্টিতে আক্রান্ত ৮, ফের অশান্ত হরিয়ানার নুহ

ছটপুজোর নিয়ম ও পদ্ধতি
চতুর্দশীর দিন থেকে সপ্তমী পর্যন্ত— এই মোট চারদিন খুব নিষ্ঠার সঙ্গে ছটপুজোর ব্রত পালন করা হয়ে থাকে। যাঁরা ছটপুজোর ব্রত করেন তাঁরা ভাইফোঁটার পরের দিন থেকেই নিরামিষ খাওয়া শুরু করেন। ছটপুজোকে মোট চারটি দিন হিসাবে ভাগ করা হয়েছে।

প্রথম দিন : প্রথম দিন অর্থাৎ চতুর্দশীর দিন যাঁরা ছটপুজোর ব্রত পালন করেন তাঁরা শুদ্ধ কাপড় পরে ছটপুজোর জন্য ব্রতী হন। এই দিন লবণছাড়া ছোলার ডাল, মিষ্টি কুমড়া দিয়ে ভাত রান্না করে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন-মধ্যপ্রদেশে ভোটের দায়িত্বে থাকা পুলিশ-সহ দু’জনের মৃত্যু, অসুস্থ ১

দ্বিতীয় দিন : ছটপুজোর দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ পঞ্চমীর দিন খরনা ব্রত পালন করা হয়। এই দিন থেকে শুরু হয় নির্জলা উপবাস। এই উপবাস ৩৬ ঘণ্টার জন্য রাখা হয়। এই দিনে যাঁরা ব্রত পালন করেন তাঁরা কাঠের আগুনে মাটির উনুনে গুড়ের পায়েস রান্না করেন এবং ছটপুজোর জন্য ঠেকুয়া, নাড়ু ইত্যাদি প্রসাদ তৈরি করেন। সারাদিন নির্জলা উপবাসের পর এই দিন রাত্রে ব্রতপালনকারীরা সেই পায়েস খান। একে খরনা বলে।

তৃতীয় দিন : ছটপুজোর তৃতীয় দিন হচ্ছে ষষ্ঠীর দিন। এই দিন ছটপুজোর ব্রতপালনকারী মহিলারা সূর্যাস্তের সময় ডুবতে থাকা সূর্যকে গঙ্গাঘাটে অথবা কোনও বড় জলাশয়ের ধারে গিয়ে অর্ঘ্য প্রদান করেন। ধামা ভর্তি করে গোটা আখগাছ, হলুদগাছ এছাড়াও পুজোর বিভিন্ন সামগ্রী এবং দুধ নিয়ে গিয়ে সূর্যদেবের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য নিবেদন করেন।

আরও পড়ুন-মিধিলি ঘূর্ণিঝড়ে আজ দক্ষিণের জেলায় বৃষ্টিপাত

চতুর্থ দিন : চতুর্থ দিন হচ্ছে সপ্তমীর দিন। এই দিন সকালবেলায় সূর্য উদয়ের সময় ব্রতপালনকারী মহিলারা তাঁদের পরিবারের সঙ্গে ঘাটে গিয়ে সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করেন। তাঁদের অর্ঘ্যের ডালাতে থাকে হলুদগাছ, বিভিন্ন ধরনের ফল, নারকেল, কলার কাঁদি ঠেকুয়া, খাস্তা, টিকরি ইত্যাদি। অনেকে আবার মানত করে দণ্ডিও কাটেন এইদিন। এবং এইদিন তাঁরা ছটপুজোর জন্য যে উপবাস করে থাকেন সেটা প্রসাদ খেয়ে ভঙ্গ করেন।
পুজোয় কোনও ব্রাহ্মণ লাগে না
ছটপুজোর ব্রত পালনের জন্য কোনও ব্রাহ্মণের দরকার পড়ে না। যাঁরা ছটব্রত করেন তাঁরা নিজেরাই মন্ত্র উচ্চারণ করে সূর্য দেবতার কাছে অর্ঘ্য প্রদান করেন। ছটপুজোটা পুরোপুরি লৌকিক একটি প্রথা। আক্ষরিক অর্থে প্রকৃতির পুজো এই ছট। সারাবছর শস্য উৎপাদনের জন্য সূর্যের কাছ থেকে যে সহায়তা পায় মানুষ তার জন্যই সূর্যকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে তারা এই আরাধনার মাধ্যমে। এই পুজোর একটি বড় অংশ প্রার্থনা। উদিত এবং অস্তমিত সূর্যের কাছে প্রার্থনা করাই ছটপুজোর প্রধান নিয়ম। ছটপুজো যত না ধর্মীয় তার থেকেও বেশি লৌকিক। আর সেই কারণেই এই পুজোয় ব্রাহ্মণের উপস্থিত আবশ্যিক নয়। তবে যাঁরা মনে করেন যে ব্রাহ্মণের মাধ্যমেই ব্রত উদযাপন করবেন তাঁরা তা করতেই পারেন।

আরও পড়ুন-আমডাঙায় খুন তৃণমূল প্রধান

ছটপুজোর উপবাসের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি
বিজ্ঞানীদের মত অনুযায়ী ছটপুজো বিশেষভাবে বিজ্ঞানসম্মত। মানব শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিনের নিঃসরণ করতে সাহায্য করে এই পুজোর ব্রত। এই পুজোর প্রথা অনুযায়ী সূর্যের সামনে কোমর অবধি জলে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করতে হয়। এমত অবস্থায় দেহে সৌরতড়িৎ প্রবাহিত হয়, যেটা দেহে প্রবেশ করে দেহের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে, দেহ থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস দূর করতে এই প্রথাটি ভীষণভাবে কার্যকরী। আরও যেটা জানা যায়, ছটব্রত পালনে ৩৬ ঘণ্টা উপবাস মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। এবং মাথাও খুব ভাল কাজ করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই উপবাসের ফলে ব্লাডসুগার কন্ট্রোল হয়। খুব সহজভাবে বলতে গেলে ইনসুলিন শরীরে কাজ করা শুরু করে, আর তার ফলে ব্লাডসুগার লেভেল কমে যায়। উপবাস করলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, বয়ঃবৃদ্ধি রোধ করে, শরীরের বিপাকীয় ক্রিয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হিউম্যান গ্রোথ হরমোন নিঃসরণ বাড়ায় ফলে পেশি সবল হয় ও ওজন কমায়। তবে উপবাসের কিছু অপকারিতা আছে। ক্রনিক রোগ থাকলে উপোস না করাই উচিত। এছাড়াও যাঁরা ব্রেস্টফিড করাচ্ছেন অথবা সন্তানসম্ভবা অথবা বয়স্ক, তাঁদের এই কঠোর উপবাস না করাই ভাল। ছটপুজোর প্রসাদে লবণ ছোঁয়ানো হয় না। বছরে দু’বার ছটপুজো পালিত হয়। একটা ছটপুজো চৈত্র মাসে হয়। যেটাকে চৈতি ছট বলা হয়ে থাকে। অপরটি কার্তিক মাসে হয়ে থাকে। যাকে কার্তিকী ছট বলা হয়ে থাকে।

Latest article