ফেব্রুয়ারি মাসে আগামী আর্থিক বছরের রাজ্য (West Bengal) বাজেট পেশ হবে। এখন থেকেই রাজ্যের অর্থ দফতর বাজেট প্রস্তুতির কাজ শুরু করে দিয়েছে। রাজ্যের সমস্ত দফতরের চলতি আর্থিক বছরের জমা খরচের হিসাব ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে হবে বলে অর্থ দফতরের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে কোনও দফতরে কাজ করতে গিয়ে যদি বাজেট বহির্ভূত ভাবে অর্থ খরচ হয়ে থাকে তাও রিপোর্টে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। সেই খরচের পরিমাণ আগামী বছরের বাজেট বরাদ্দের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হবে। অর্থ দফতরের এই নির্দেশিকার পরে সমস্ত দফতরে বাজেট প্রস্তুতি নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই এ বছর বিধানসভায় তিন মাসের জন্য অন্তর্বর্তী বা ব্যয় মঞ্জুরি বাজেট পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। লোকসভা ভোটের পর পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করা হবে। যে সমস্ত জনমুখী প্রকল্পের জন্য সরকারের সব থেকে বেশি টাকা খরচ হচ্ছে তার মধ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডার, দুয়ারে রেশন, খাদ্যসাথী, কন্যাশ্রী, কৃষকবন্ধু প্রভৃতি রয়েছে। সব মিলিয়ে এই ধরনের প্রকল্পে বছরে ৮৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয় সরকারের। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন উন্নয়ন ও পরিকাঠামো প্রকল্পের জন্য খরচ। করোনা মোকাবিলার জন্য গত বাজেটের মতো এবারেও বাড়তি সংস্থান রাখতে হচ্ছে অর্থদফতরকে (West Bengal)। মানুষের হাতে টাকার জোগান অব্যাহত রেখে অর্থনীতিকে সচল রাখা ও বাংলার আর্থসামাজিক পরিস্থিতির সামগ্রিক উন্নয়নই লক্ষ্য নবান্নের।
আরও পড়ুন- মাছ-মাংস-ডিম বিক্রি বন্ধ, কুর্সিতে বসেই বিতর্কে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী