সংবাদদাতা, গঙ্গাসাগর : গঙ্গাসাগর মেলার অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার কাজ খতিয়ে দেখলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে তিনি সমস্ত অস্থায়ী ঘাট খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি কপিলমুনি চত্বর ও মেলার মাঠও পরিদর্শন করেন তিনি। এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় পুণ্যার্থীর সংখ্যা বেশি হতে পারে বলেই মনে করছে জেলা প্রশাসন। তাই কোনও খামতি না রেখে মেলা চত্বরে যাতে আগুন জ্বালিয়ে কোনও রান্না না হয়, সেই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন-পৌষ সংক্রান্তি থেকে কংসাবতী তীরে গঙ্গারতি চালু করছে মেদিনীপুর পুরসভা
আপৎকালীন পরিস্থিতিতে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে দমকলও। গঙ্গাসাগর মেলার জন্য অস্থায়ী আরও ১১টি ফায়ার স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে এই স্টেশনগুলি করা হয়েছে। মেলা গ্রাউন্ডে ছ’টি ফায়ার স্টেশন থাকবে,বাইরে থাকবে পাঁচটি। অগ্নি নির্বাপণের জন্য অত্যাধুনিক পরিষেবার বাইক ব্যবহার করা হবে। এই বাইকে একইসঙ্গে জল ও ফোম বহন করা যাবে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে বাইক দমকল। জলের সমস্যা মেটানোর জন্য করা হচ্ছে হাইড্রেন। ২০৮৭টি হাইড্রেন পয়েন্ট থেকে জল সরবরাহ করা হবে।
আরও পড়ুন-মুড়িগঙ্গায় নতুন চর, ড্রেজার এল ফরাক্কা থেকে
দমকলের অফিসার ও অপারেটর মিলিয়ে মোট ২৬০ জন মেলার কাজে যুক্ত থাকবেন। এছাড়া কচুবেড়িয়ায় ১ লক্ষ ৩৮ হাজার লিটার জলের ওয়াটার রিজার্ভার করা হয়েছে। সেখান থেকে সরাসরি দমকলের ইঞ্জিন জল ভরতে পারবে। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, গঙ্গাসাগর মেলায় আগুন লাগলে যাতে দ্রুতগতিতে নেভানো যায়, দমকলের আধিকারিকরা সর্বদা সজাগ থাকবেন। মেলার মধ্যে কোনওভাবে আগুন জ্বালানো যাবে না। মাইকিং প্রচার চলবে। মেলার মধ্যে কোন পয়েন্টে দমকলের আধিকারিকরা থাকবেন, তা নিয়ে গঙ্গাসাগর মেলা অফিসে একটি বৈঠক করেন মন্ত্রী সুজিত বসু।