স্পিন বোলিংয়ের পতাকা-বাহক ছিলেন ওয়ার্ন, শ্রদ্ধা অশ্বিনের

১৯৯৯-এর বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন ওয়ার্ন। উইসডেন তাঁকে বিংশ শতাব্দীর সেরা পাঁচ ক্রিকেটারের মধ্যে রেখেছিল।

Must read

নয়াদিল্লি, ৮ মার্চ : এই আছি, এই নেই! জীবনের গতিপ্রকৃতি বড়ই চঞ্চল। শ্যেন ওয়ার্নের আকস্মিক মৃত্যু যেন এভাবেই নাড়িয়ে দিয়েছে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। কিংবদন্তি স্পিনারের এই মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। মোহালিতে কপিলদেবকে টপকে টেস্টে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারী বোলার হয়েছেন অশ্বিন। নতুন মাইলস্টোনে পৌঁছনোর আনন্দে উচ্ছ্বসিত না হয়ে তিনি বর্তমানে প্রয়াত ওয়ার্নের স্মৃতিতে ডুব দিয়েছেন। তাঁর মনে হচ্ছে, অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তি স্পিন বোলিংকে আক্রমণের হাতিয়ার হিসাবে সামনে নিয়ে এসেছিলেন। নিজের ইউ টিউব চ্যানেলে চেন্নাইয়ের অফস্পিনার বলেছেন, ‘‘ওয়ার্নকে আমি বিশ্ব ক্রিকেটের মানচিত্রে স্পিন বোলিংকে নিয়ে আসার পতাকা-বাহক হিসাবে দেখছি। বিশ্বের সেরা তিন উইকেট সংগ্রাহকই স্পিনার। মুরলিধরণ, ওয়ার্ন ও কুম্বলে। ভীষণ আকর্ষণীয় চরিত্র ছিলেন ওয়ার্ন। যাঁকে নিয়ে অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তিরা অনেক কিছু বলেছেন। জীবন এত চঞ্চল, আমি এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। এরপর কী হবে, আমরা কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারি না।”

আরও পড়ুন-‘সেরা বাবা’ বার্তা সন্তানদের

এরপর অশ্বিন আরও বলেছেন, ওয়ার্ন ছিলেন এক বর্ণময় চরিত্র। যিনি বোলিংয়ের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাজার উইকেট খুব বেশি লোক নিতে পারেননি। বিশ্ব ক্রিকেটে স্পিন বোলিংকে আক্রমণের হাতিয়ার হিসাবে নিয়ে এসেছিলেন ওয়ার্ন। ‘‘লোকে ওয়ার্নের কথা উঠলে মাইক গ্যাটিংকে করা সেই বলের কথা বলে। কিন্তু আমি বলব ২০০৫-এর অ্যাসেজে অ্যান্ড্রু স্ট্রসকে করা বলের কথা। একা হাতে সেবার অস্ট্রেলিয়াকে অ্যাসেজ এনে দিয়েছিলেন ওয়ার্ন। অসাধারণ মানুষ ছিলেন। জীবনকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগিয়ে বেঁচেছেন।” আরও বলেছেন অশ্বিন।

১৯৯৯-এর বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন ওয়ার্ন। উইসডেন তাঁকে বিংশ শতাব্দীর সেরা পাঁচ ক্রিকেটারের মধ্যে রেখেছিল।

Latest article