৩০ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি পড়ুয়া (visva bharati student kidnapping case)। তাঁকে অপহরণের অভিযোগে ইতিমধ্যই ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে আটজন মেদিনীপুরের, একজন নানুরের এবং বাকি তিনজন দুবরাজপুরের। অপহৃত বিদেশী পড়ুয়াকে দিঘার তালসারি থেকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। একইসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে বিদেশী গবেষক ছাত্রের মোবাইলও।
সূত্রের খবর, চুল ব্যবসায় আর্থিক বিবাদ থেকেই এই অপহরণের (visva bharati student kidnapping case) ছক। অপহৃত মায়ানমারের ছাত্র প্যানচারা থাই চুলের ব্যবসা করতেন। পূর্ব মেদিনীপুরের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল তাঁর। ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে বচসা বাঁধে। তারপরই অপহরণের ছক কষে ওই ব্যবসায়ী। দুবরাজপুরের একাধিক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারাই বিশ্বভারতীর পড়ুয়াকে অপহরণ করে।
আরও পড়ুন- বোনাসের দাবিতে চা-শ্রমিকদের লাগাতার আন্দোলন, পাশে তৃণমূল সাংসদ
বিশ্বভারতীর বিদ্যা ভবন তুলনামূলক ধর্ম ও দর্শন বিভাগ থেকে বৌদ্ধ দর্শন নিয়ে গবেষণা করছে প্যানচারা থাই। মায়ানমার থেকে এসে প্রায় ৮ বছর ধরে বোলপুরে থেকেই পড়াশোনা করছেন তিনি৷ ২০২২ সালে গবেষণার থিসিসও জমা দিয়েছেন। ২০২৪ সাল পর্যন্ত তার ছাত্র ভিসা রয়েছে এদেশে। কিছু দিন আগেই সে কোলকাতা গিয়েছিল তাঁর সোসাইটির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সদ্য ফের বোলপুরে ফিরেছেন। আর তারপরেই এই ঘটনা ঘটল।
ধৃতদের মধ্যে আজারুদ্দিন মির্ধা, শেখ আলাউদ্দিন ও আতাউল্লা শেখকে শনিবার বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার রাজ নারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, উদ্ধার করা হয়েছে বিশ্বভারতীর গবেষক ছাত্রকে। আপাতত আমরা এই ছাত্রকে অপহরণের ঘটনাটি নিয়ে চিন্তিত। তিরিশ ঘন্টার মধ্যেরই পুলিশ অপহৃত ছাত্রকে উদ্ধার করতে পেরেছে। একইসঙ্গে দুটি চার চাকা গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে ব্যবসার সঙ্গে কোন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রয়েছে কিনা তার তদন্ত চলছে। মায়ানমারের ওই পড়ুয়াকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেই খবর।