মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে আমন্ত্রণ জানিয়ে ট্যুইট চটুল রাজনীতি রাজ্যপালের

রাজভবনে যাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠি রাজ্যপাল ট্যুইট করে প্রকাশ্যে আনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

Must read

প্রতিবেদন : রাজভবনে যাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠি রাজ্যপাল ট্যুইট করে প্রকাশ্যে আনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তীব্র সমালোচনা করেছে রাজ্যপালের চটুল রাজনীতির। প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যপালের আসল উদ্দেশ্য নিয়েও। মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে পাঠানো নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও, বৃহস্পতিবার তাঁকে পাঠানো চিঠি প্রকাশ্যে আনায় রাজ্যপালকে এদিন রীতিমতো তোপ দেগেছেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রাজ্যপালের রুচি এবং সৌজন্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

আরও পড়ুন-স্কিল-বৈচিত্র্যে অধিনায়কের নজর কাড়লেন যোধপুরের তরুণ

তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাজ্যপাল একটি সাংবিধানিক পদ। মুখ্যমন্ত্রীও সাংবিধানিক পদ। জগদীপ ধনকড় নামের ব্যক্তিটি সাংবিধানিক পদটির মর্যাদা ধুলোয় লুটিয়ে দিয়েছেন। সংবিধান একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে থেকে রাজ্যপালকে কাজ করার কথা বলেছে। কিন্তু উনি সেটা করছেন কোথায়? রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতেই পারেন, ডেকেও পাঠাতে পারেন। তা নিয়ে আমাদের কারওর কিছু বলার নেই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠি প্রকাশ্যে ট্যুইট করাটা অসভ্যতা। চিঠি পাঠাতেই পারেন, কিন্তু ট্যুইট কেন করলেন? উনি কি বলতে চাইছেন উনি জমিদার? সবই তো ট্যুইট করেন, তাহলে চিঠি দেওয়ার কী আছে। একজন রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠি প্রকাশ্যে আনছেন, এটা তাঁর রুচি। কিন্তু এটা সৌজন্যের মধ্যে পড়তে পারে না।’’

আরও পড়ুন-প্রথম প্র্যাকটিসে নার্ভাস ছিলাম, চাহাল টিভিতে বিষ্ণোই

উল্লেখ্য, মুখোমুখি আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাজ্যপাল। চলতি সপ্তাহের যে কোনও দিন রাজভবনে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। অভ্যাসমতো বৃহস্পতিবার সেকথা জানিয়ে ট্যুইটও করেছেন রাজ্যপাল। আপত্তিটা এখানেই। রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের বিবাদ নতুন কোনও ঘটনা নয়।

তবে গত কয়েক বছর ধরে এই বিবাদের জেরে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি ট্যুইটারে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ব্লক করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, রাজ্যপালের অপসারণের দাবিতে সংসদে স্বতন্ত্র প্রস্তাবও এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে জনমতও গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এসবের মধ্যেও রাজ্য সরকারের বিরোধিতা চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল।

Latest article