ঘটনা এক : কিছুদিন ধরেই ঋতমকে চুপচাপ থাকতে দেখে তাঁর মায়ের চিন্তা হচ্ছিল। বাড়ছিল উদ্বেগ। স্কুল থেকে ফিরে বাড়ির কারও সঙ্গে কথা বলে না। উত্তর দেয় না। কীরকম যেন হাবভাব। স্কুলে যেতে না চাওয়ার বাহানা। অনেক চেষ্টার পর জানা গেল ঋতম অবসাদে ভুগছে। নিরন্তর ভাল রেজাল্টের চাপ, বাবা-মায়ের প্রত্যাশার চাপ, অথচ সেটা করে উঠতে না পারা, সেখান থেকেই শুরু…
ঘটনা দুই : ক্লাস সেভেনে ওঠার পর থেকেই রেশমির মধ্যে অদ্ভুত এক পরিবর্তন লক্ষ্য করলেন বাড়ির অন্য সদস্যরা। সদা চুপচাপ শান্ত স্বভাবের মেয়েটির হঠাৎ করেই প্রগলভতা, সাজগোজের দিকে অস্বাভাবিক মনোযোগ বেড়ে যাওয়া আর পড়াশোনায় সামান্যতম মনোযোগ না দেওয়া। কিছু বললেই মুখে মুখে তর্ক চলতেই থাকে।
ঘটনা তিন : নাইনে উঠে তিন্নির মোবাইল-প্রীতি নিয়ে অভিভাবকেরা ভীষণ সমস্যায় পড়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে পড়াশুনোর জন্য মোবাইলটা খুবই প্রয়োজনীয়। তবে সেটা যদি মারাত্মক নেশা হয়ে দাঁড়ায়, বাবা-মায়ের রাতের ঘুম উড়ে যায়। তিন্নি সর্বক্ষণ মোবাইল নিয়ে থাকছে। কিছু বলতে গেলেই চরম অশান্তি করছে। এ ছাড়া বন্ধু-বান্ধবও জুটেছে। যাদের গুরুত্ব তিন্নির জীবনে ক্রমশ অপরিসীম হয়ে উঠছে। বাবা-মায়ের কথা সেখানে গৌণ।
এমনই সব পরিস্থিতির মুখোমুখি এখনকার বেশিরভাগ বাবা-মা। সন্তানের বয়ঃসন্ধিতে পা দেওয়ার প্রায় শুরু থেকেই বাবা-মায়ের রাতের ঘুম উড়ে যাবার জোগাড়। সমস্যাগুলো একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম।
বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া, মোবাইল থেকে পর্নোগ্রাফির সাইট সার্ফিং, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে খেলা ছেড়ে আড্ডায় মন দেওয়া। সঙ্গত কারণেই পড়াশোনায় মনোযোগের অভাব। মারধর বা বকাবকি করলে অনেক ক্ষেত্রেই পরিণাম হয় মারাত্মক। বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া বা অভিমানে চরম কিছু করে ফেলা-সহ নানা অবাঞ্ছিত ঘটনার মুখোমুখি হন অভিভাবকেরা। কারও ক্ষেত্রে আবার অতি-প্রশ্রয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
বয়ঃসন্ধি বা টিনএজ (Teenage) এক মারাত্মক সময়, যখন একটি ছেলে বা মেয়ের মানসিক এবং শারীরিক দুয়েরই পরিবর্তন ঘটে। এই সময় বাবা এবং মায়ের দুজনেরই সমান ভূমিকা থাকে। কিন্তু বিশেষ করে একজন মায়ের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই মা যদি হন হাউসওয়াইফ তাহলে তাঁর পরিস্থিতি একরকম, আবার তিনি যদি হন ওয়র্কিং বা চাকুরিরতা তাহলে তাঁর পরিস্থিতি অন্যরকম। তাঁরা নানা ধরনের সমস্যায় পড়েন তাঁর সদ্য বয়ঃসন্ধিতে পা দেওয়া ছেলে বা মেয়েকে নিয়ে। কিন্তু সমস্যা যেমনই হোক সুসন্তান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দুজনেরই আপ্রাণ চেষ্টা থাকে।
একজন হাউসমাদারের কাছে তাঁর সন্তানকে সময় দেবার সুযোগটা অনেক বেশি থাকে। তিনি সন্তানের খুঁটিনাটির দিকে নজর রাখতে পারেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। নিজের শখ-আহ্লাদ ছেড়ে শুধুমাত্র সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার নেশায় মশগুল থাকেন। আরেক দিকে চাকুরিরতা মায়েরা যেহেতু পূর্ণ সময় দিতে পারেন না, সেই কারণে অপরাধবোধে ভোগেন বেশি। এবং কিছু সময় দেখা যায় সন্তানকে খুশি করতে সন্তান যা চায় তাই দিয়ে থাকেন। ফলত বাচ্চা যা চায় তাই পেয়ে যাওয়ায় অনেক সময় মারাত্মক সমস্যা তৈরি হয়। তবে এ-কথাও ঠিক যে মা কর্মরতা হলে সন্তান মানুষ হয় না এমন ভাবনা এই বিশ্বায়নের যুগে খুবই হাস্যকর। কর্মরতা মায়ের কৃতীসন্তানের ভূরি ভূরি উদাহরণ রয়েছে।
বয়ঃসন্ধির (Teenage) দোরগোড়ায় দাঁড়ানো সন্তানটির দেহের এবং মনের (ছেলে-মেয়ে উভয়েরই) নানা পরিবর্তনের কারণে তাদের আনন্দ, রাগ-অভিমান, অপমান, দুঃখের মতো অনুভূতিগুলো তীব্রমাত্রায় দেখা দেয়।
মনোবিজ্ঞানীর কথায় দশ থেকে উনিশ বছরের সময়কেই বয়ঃসন্ধিকাল (Teenage) হিসাবে ধরা হয়। কিশোর-কিশোরীরা যে-সময় নিজেদের অনুভূতি ঠিক আয়ত্তে রাখতে পারে না। নিজেদের স্বাধীন বলে আত্মপ্রকাশের চেষ্টা করে।
আগে যেমন তার বাবা-মায়ের কথা শুনে চলত, বাবা মায়ের ভাবনা-চিন্তাই ছিল তাদের চিন্তা। কিন্তু এই বয়সে পৌঁছে তারা স্বাধীনভাবে ভাবতে শুরু করে এবং অভিভাবকদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়, চিন্তা-ভাবনায় দেখা যায় ব্যাপক পরিবর্তন।
মনও থাকে খুব সংবেদনশীল। বাবা-মায়ের বাঁধন ছিঁড়ে স্বাধীনচেতা হয়ে উঠতে চায় ছেলেমেয়েরা। মুড স্যুইং, ডিপ্রেশন, বাউন্ডুলেপনা, অসামাজিক কাজের প্রতি ঝুঁকে পড়া, মাদক গ্রহণ অথবা যে কোনও ধরনের নেশা, বহির্মুখিতা এই সময় খুব দেখা যায়। বিপর্যস্ত বাবা-মায়েরা কী করবেন বুঝে উঠতে না পেরে হতাশায় ভেঙে পড়েন।
একজন ঘর-সংসার সামলানো মা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সন্তানকে দেখভাল করতে পারেন। তাকে স্কুলে দিয়ে আসা, টিউশন পড়াতে নিয়ে যাওয়া, পড়াশুনোর দিকে লক্ষ্য রাখা, বন্ধুবান্ধবের গতিবিধি নজরে রাখা, মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময়সীমা দেখা, ভুলভাল কোনও ওয়েবসাইটের নেশায় পড়ল কিনা— এইসব তিনি নজরে রাখতে পারেন। তাই সন্তানের পরিবর্তনটাও সেইক্ষেত্রে নজরে পড়ে তৎক্ষণাৎ।
কিন্তু একজন কর্মরতা মায়ের পক্ষে সম্ভব নয় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সন্তানের গতিবিধিতে পূর্ণ নজর রাখা। কারণ তাঁকে তাঁর কাজের জগৎটাকেও গুরুত্ব দিতে হয় সমানভাবেই। দিনের পর দিন সেখানেও কোনও ওজর-আপত্তি চলে না। একজন কর্মরতা মায়ের সেখানে হাত-পা বাঁধা।
তবে এ-কথা সত্যি যে, আপ্রাণ চেষ্টা তাঁরও থাকে। কখনও ফোনের মাধ্যমে খোঁজখবর নেওয়া, কখনও-বা দরকারে ছুটি নিয়েও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তবু কিছু পার্থক্য তো থেকেই যায়।
তবে এ-কথা মাথায় রাখতে হবে যে, মায়ের সান্নিধ্যের কোনও বিকল্প হয় না।
এখন প্রশ্ন হল বয়ঃসন্ধির(Teenage) সন্তানকে মায়েরা সামলাবেন কী করে?
• কারও সঙ্গে তুলনা করবেন না। নতুবা সন্তানের জেদ আরও বেড়ে যাবে। নেতিবাচক কথা বলা চলবে না। সমস্ত রকম কাজে নিজের সন্তান যেটা পারছে বা করছে, যেটাতে ওরা দক্ষ, সেটাতে উৎসাহ দিতে হবে।
• পড়াশোনায় অমনোযোগী হলে রেজাল্ট খারাপ হলেই হা-হুতাশ করে ‘জীবনে তোর কিছু হবে না’ ধরনের কথা বলে ওদের সামনে ভেঙে পড়বেন না। প্রয়োজনে স্কুল শিক্ষকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে সুবিধা-অসুবিধা জেনে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
• সন্তানের জেদ, একগুঁয়েমি, মুখে মুখে তর্ক বাড়লে ধৈর্য ধরতে হবে। মারধর করলে সমস্যার সমাধান করা যাবে না। ওদেরকে সঙ্গ দিয়ে, ভালবেসে বুঝিয়ে চেষ্টা করতে হবে।
• সন্তানের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে হবে। সবাই যে পড়াশুনায় ভাল হবে, সবার সমান মেধা হবে এমনটা নয়। সুতরাং মায়েদের অনেক বেশি ধৈর্যশীল হতে হবে। সন্তানের বক্তব্য মন দিয়ে শুনতে হবে।
• একসঙ্গে গল্প করা, টিভি দেখা, গল্প শোনানো, বেড়াতে নিয়ে যাওয়া— সব কিছু করতে হবে। সব সময় সব কিছুতেই নিজের মতামত সন্তানের উপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। অতিরিক্ত স্নেহ বা উদাসীনতা দুই-ই বিপথগামী করে তুলতে পারে সন্তানকে।
• তবে অতিরিক্ত বায়নায় শাসন করাও দরকার। কোনও জিনিস চাইলে সেটা কতটা দরকার বুঝে, তবেই দেওয়া দরকার। ক্লাস সেভেন, এইটের ছেলেমেয়েরা বাইক অথবা স্কুটির বায়না করলে সেটা কখনওই দেওয়া যাবে না। তাদের চাহিদার প্রয়োজন এবং তার খারাপ ও ভাল দিক বিচার করে তবেই বায়না মেটাতে হবে।
• অনেকে স্লো-লার্নার হয়। তার সমস্যা বুঝে, স্কুলে কথা বলে নিতে হবে। রাগারাগি, মারধর, বকাবকি বন্ধুবান্ধব সবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া, এ-সব একেবারেই নয়। হিতে বিপরীত হতে পারে।
• একজন সহনশীল ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মা হিসেবে সমস্যাটিকে আন্তরিকতার সঙ্গে দেখে সমাধানের পথে নিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজন, গুরুত্ব বুঝলে মনোবিদের সাহায্য নিতে হবে।
• নিজের অপূর্ণ ইচ্ছে বা শখ সন্তানের উপর চাপিয়ে দেবেন না। আপনি খুব গান ভালবাসেন বলে সন্তানকে গান নিয়ে জীবনে এগোতে বলবেন, আশা করবেন সে বড় সংগীতশিল্পী হবে, এটা নৈব নৈব চ।
• আপনার সাথে সন্তানের পছন্দ এক না-ই হতে পারে। ওর ইচ্ছাকেও সম্মান দিন, তাকে জীবনের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করুন।
• সন্তানের ব্যক্তিসত্তাকে সম্মান জানাতে হবে। লুকিয়ে তাদের ব্যাগ চেক করা, মোবাইল দেখা, গোপনে ডায়েরি পড়া এড়িয়ে চলুন।
• সন্তানের পছন্দের বন্ধু-বান্ধব নিয়ে বিরূপ মন্তব্য না করে লক্ষ্য রাখতে হবে কাদের সঙ্গে মেলামেশা করছে। ভালবেসে ভাল-মন্দের ব্যবধান বোঝাতে হবে। না হলে মায়ের প্রতি তার বিশ্বাস ও আস্থার জায়গাটা ক্রমশ হারাবে।
শিক্ষা-সচেতনতার পাঠ দেবে মা
একজন মা সন্তানের পাশে থাকেন বিপদের বন্ধু হিসাবে, অসহায় অবস্থায় অভিভাবক হয়ে। সন্তানের সব থেকে বড় আশ্রয়স্থল হল মা। তিনিই সবচেয়ে বড় বন্ধু ও শিক্ষক। তাই মা-এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখতে হবে ভাল রেজাল্ট নয়, ভাল মনের মানুষ হয়ে ওঠা, মানবিক মূল্যবোধ তৈরি হওয়া খুব জরুরি। তাই সন্তানের জীবনের এই সংবেদনশীল অধ্যায়কে খুব সতর্কতা ও যত্নের সাথে লালন করে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন- স্বজনপোষণ? ব্রাত্যর যুক্তিতে কুপোকাত বিরোধীরা
বয়ঃসন্ধির (Teenage) কিছু পরামর্শ
পেরেন্টিং কনসালটেন্ট পায়েল ঘোষ
মায়েদের কাছে তাঁর সন্তানের বয়ঃসন্ধি (Teenage) ঠিক কখন এসে পড়ে, অনেক সময়ই তিনি তা জানতেও পারেন না। কিছু লক্ষণ দেখলে বোঝা যায় যে তাঁর বাচ্চা বয়ঃসন্ধিতে (Teenage) পড়েছে। অর্থাৎ কখনও বাচ্চার মুড স্যুইং হয়, কখনও রেগে যায়, খিটখিট করে, মায়ের অতিরিক্ত শাসন পছন্দ করে না। হঠাৎ একজন মা উপলব্ধি করেন তাঁর সন্তান কখন যেন অচেনা হয়ে গেছে। এই সময় যা করণীয় তা হল—
• প্রথমত সন্তানের কথাকে গুরুত্ব দেওয়া। কারণ শাসন বা নির্দেশমূলক সুরে কথা অনেক সময় বাচ্চা মানতে পারে না।
• মায়ের তাঁর সন্তানের সঙ্গে কথোপকথনের ভঙ্গিমা বদল করা দরকার। অভিযোগের তির ছুঁড়ে দেওয়া, তাচ্ছিল্যযুক্ত কথাবার্তা বন্ধ করতে হবে। এটা বয়ঃসন্ধিতে (Teenage) বাচ্চারা নিতে চায় না ফলে তখন তাঁরা প্রতিবাদ করে এবং ভায়োলেন্ট হয়ে ওঠে। বাড়ির বড় সদস্যদের মতোই রেসপেক্টফুল বিহেভিয়ার রাখতে হবে বাচ্চার সঙ্গে। আলোচনামূলক সংলাপে যেতে হবে।
• যেহেতু মা সবচেয়ে বেশি সময় দেন সন্তানকে, ফলে তার ওপর মায়ের একটা অধিকারবোধ জন্মে যায়। অর্থাৎ কী করছে, কার সঙ্গে কথা বলছে, ইত্যাদি নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয় মায়ের মনে। একটানা নজরদারি চলতে থাকে। এই জায়গাগুলো করলেই বরং ক্ষতি হবে। তার চেয়ে সন্তানকে একটু স্পেস দিলে ভাল।
• কোনও বন্ধুর ফোন এসেছে, সে আড়ালে কথা বলছে, বলুক না। তাকে একটু ছাড় দেওয়া হোক না যাতে সে নিজের মতো কথা বলতে পারে। হয়তো কথা বলতে গিয়ে কোনও স্ল্যাং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে ফেলল। নিষিদ্ধ ভাষা নিজের বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে বলে এক অদ্ভুত বড় হবার স্বাদ পায় এই বয়সের ছেলেমেয়েরা।
• বন্ধু-বান্ধবরা বাড়ি এলেও একটু-আধটু প্রাইভেসি দিলে ভাল।
• পড়াশুনো নিয়ে তিরস্কার না করে খোলাখুলি আলোচনা করতে হবে যে, কোন বিষয়ে ওর অসুবিধে হচ্ছে। আর কী করলে সেই সমস্যা দূর হবে।
• বাচ্চারা সুন্দর কথায় অনেক সময় আপস করে নেয়।
• এই সময় ছেলেমেয়েরা তর্কবাগিশ হয়। এক্ষেত্রে তর্কে না গিয়ে ছেড়ে দিতে হবে খানিকটা সময়। বাচ্চা যদি চিৎকার করে তখন নিজের তরফ থেকে কথা বন্ধ করে সরে যেতে হবে। এটা নিয়ে দুঃখ পাবার কারণ নেই। এটা সাময়িক, পরবর্তীতে চলে যাবে। এর ফলে বাচ্চাও কিছুটা সময় পরেই নিজের ভুলটা বুঝতে পারবে।
• স্মার্ট ফোন এখন স্কুল থেকেই অপরিহার্য, তাই প্রত্যেকের ফোন অ্যাডিকশন স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে ফোন দেখার একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিন।
• বাড়ির ছোট ছোট বিষয়গুলোতে ওঁদের মতামত নিলে এবং দায়িত্ব দিলে সন্তানের ইনভলভমেন্ট এবং রেসপন্সিবিলিটি দুই-ই বাড়বে।