দেবর্ষি মজুমদার, শান্তিনিকেতন : সোমবার সকালে ক্লাস করতে গিয়ে পড়ুয়ারা দেখলেন সব ভবনের ফটকে তালা বন্ধ। শিক্ষকরাও ফিরে আসতে বাধ্য হন। তারপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের চক্রান্তের গন্ধ পেয়ে আশ্রমের ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন পড়ুয়ারা।
টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, বিদ্যাভবনের গেটেও তালা বন্ধ দেখে বিদ্যাভবনের প্রিন্সিপাল সন্দীপ বসু সর্বাধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, ‘‘বুঝতে পারছি না।’’ মীনাক্ষী বলেন, ‘‘আমরা জানি স্টুডেন্টরা কোথাও তালা লাগায়নি।’’ সন্দীপ বিশ্বভারতীর ইসির মেম্বার। তিনি নিরাপত্তারক্ষীদের জিজ্ঞেস করতে বলেন। নিরাপত্তারক্ষীরা জানায়, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ না পেলে খুলবে না।
আরও পড়ুন-হাতির রহস্যমৃত্যু, সন্দেহ বৈদ্যুতিক শক
বিষয়টি কলকাতা আদালতের নজরে আসায়, বীরভূম জেলা পুলিশ সুপারের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই রিপোর্ট বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে দিতে হবে বলে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, ভার্চুয়ালি এসপিকে হাজির থাকতে হবে শুনানিতে। অচলাবস্থা কাটাতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তার শুনানিতে আজ বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘরে তালা দিয়ে রেখে পঠন-পাঠনে বাধা সৃষ্টি করে কেউ আদালতের সহানুভূতি পেতে চাইছে কি না বা তালা দেওয়া হল কেন, সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে জেলা পুলিশ সুপারকে।
মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, উপাচার্য চাইছেন আদালতে প্রমাণ করতে যে পড়ুয়ারা ভবনে তালা দিয়ে আদালতের অবমাননা করেছে। কিন্তু ইতিমধ্যে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে
যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারী অ্যাকাডেমিক এবং রিসার্চ সেন্টারে তালা মেরে ছুটে পালাচ্ছেন।